তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনে বাণিজ্য ও অর্থ মন্ত্রণালয়কেও দায়িত্ব নিতে হবে: বাটা সভায় বক্তারা

প্রকাশিতঃ অক্টোবর ২৩, ২০২৫, ০৫:৩১

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে মোট মৃত্যুর ৭১ শতাংশের জন্য দায়ী অসংক্রামক রোগ, যার অন্যতম প্রধান কারণ তামাক। তামাকজনিত রোগের চিকিৎসায় বছরে ব্যয় হয় প্রায় ৩০ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা। শুধু স্বাস্থ্য নয়, তামাক দেশের অর্থনীতি ও পরিবেশের জন্যও মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করছে। সরকার আইন প্রণয়ন করলেও তামাক কোম্পানিগুলো বেপরোয়াভাবে আইন লঙ্ঘন করছে — এমন অভিযোগ করে বক্তারা বলেন, এখনই সময় বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন আরও শক্তিশালী করার।

আজ ২২ অক্টোবর ২০২৫, বেলা ১২টায় অনলাইনে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট (বাটা)-এর এক সভায় এই আহ্বান জানানো হয়। সভায় মূল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভাইটাল স্ট্রাটেজিস বাংলাদেশের সিনিয়র টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার ও আইনজীবী এডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম।

তিনি বলেন, “তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমকে অধিকতর গতিশীল করতে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে সমন্বয় ও সহযোগিতা জরুরি। তামাক কোম্পানির প্রভাব থেকে নীতি সুরক্ষা এখন সময়ের দাবি।”

সভায় বক্তারা আরও বলেন, বাংলাদেশ সংবিধানের ১৮ (ক) অনুচ্ছেদে জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর সকল পণ্য নিষিদ্ধ করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের ওপর ন্যস্ত করা হয়েছে। তাই তামাক নিয়ন্ত্রণ শুধুমাত্র স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একক দায়িত্ব নয়। এ ক্ষেত্রে বাণিজ্য ও অর্থ মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কেও আইন সংশোধন ও বাস্তবায়নে সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে।

বক্তারা জানান, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নের অবস্থা পর্যবেক্ষণ, গবেষণা, ক্যাম্পেইন পরিচালনা এবং স্থানীয় পর্যায়ে বেসরকারি সংস্থাগুলোর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে সরকারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করতে হবে।

সভায় আলোচকগণ আরো বলেন, সারাদেশে তামাক নিয়ন্ত্রণে টাস্কফোর্স কমিটি গঠন করা হলেও এর কার্যক্রম নিয়মিত হচ্ছে না। তারা এই কমিটিগুলোর সভা নিয়মিত করা এবং আইন লঙ্ঘনকারী তামাক কোম্পানিগুলোকে শাস্তির আওতায় আনার আহ্বান জানান।

বক্তারা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশ ইকোনমিক জোন অথরিটি (বেজা) নতুন নেশাজাত পণ্য নিকোটিন পাউচ তৈরির কারখানা স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছে, যা তরুণ প্রজন্মের জন্য ভয়াবহ হুমকি। তারা বলেন, “এ ধরনের সিদ্ধান্ত সংবিধান, মহামান্য হাইকোর্টের আপিল বিভাগের রায় এবং সরকারের জনস্বাস্থ্য উন্নয়ন প্রচেষ্টার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তাই অবিলম্বে এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে।”

অনলাইন সভায় বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের অর্ধশতাধিক সংগঠনের প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন এবং তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে করণীয় বিষয়ে তাদের মতামত ও পরামর্শ তুলে ধরেন।

চাইলে আমি রিপোর্টটির একটি সংক্ষিপ্ত সংবাদ সংস্করণ (২৫০–৩০০ শব্দের) বা প্রিন্ট-স্টাইল হেডলাইন ও লিডসহ সম্পাদিত পত্রিকা ফরম্যাটে সাজিয়ে দিতে পারি। কোন সংস্করণটি চাও?