বেদনা সংলাপ

প্রকাশিতঃ অক্টোবর ২৩, ২০২৫, ০৩:৩৬

সৈয়দা রাশিদা বারী : লেখক সাবিহার পুত্রবধূ এবং পুত্রবধূর মায়ের জ্ঞ্যঙ ব্ল্যাকমেল, সাবিহার মেধাবী ক্লাস ওয়ান উচ্চশিক্ষিত সহজ সরল পুত্রকে যেমন বাধ্য করেছিল একমাত্র সর্বোচ্চ শিক্ষিত বুদ্ধিজীবী বড় ভাইকে ফেলে আগে বিয়ে করতে! ভাই এবং বিশিষ্ট জ্ঞানী গুণী সাহিত্যিক মাকে উপস্থিত না রেখে, না জানিয়ে একলা বিয়ে করতে। এবার তেমন বাধ্য করেছে জ্ঞানী গুণী বয়স্ক এবং অসুস্থ মাকে ফেলে, মায়ের সাথে থাকা বাসা ছেড়ে, শাশুড়ি এবং স্ত্রীকে নিয়ে অন্যত্রে বাসা নিয়ে চলে যেতে। সবাই বুঝবেন এটা মাকে বিপদে ফেলানোর ষড়যন্ত্র। গেছে তো গেছেই, ভাগ্য নিয়ে চলে গেছে। ভালো। যে মা ওকে মানুষের মত মানুষ করতে পেরেছিলো, সেই মা ওকে ছাড়াও একলা বাঁচতে পারবে। কিন্তু কথা হলো ষড়যন্ত্রকারী ভিলেনি গ্যাং পরিচালক ব্ল্যাকমেইলের রাজা পুত্রের যে শাশুড়ি এবং স্ত্রীর, তাদের ডিরেকশন মত মায়ের সম্পত্তি কষ্টার্জিত যতটুকু যা আছে, সাহিত্যিক মা কর্তৃক বড় সন্তানকে ফাঁকি দিয়ে লিখে নিতে না পেরে, মাকে আঘাত দিয়ে উল্টাপাল্টা কথায় এক লিপি লিখে মাকে প্লেস করে গেছে! নাকে দেওয়া পুত্রের সেই লিপির, মায়ের ৩ নাম্বার প্রতি উত্তর বা জবাব, কথাশিল্পী সাবিহার আজকের লেখা পড়ুন, ভালো করে পড়ুন, জানুন বুঝুন, উপলব্ধি করুন! ‘সংসার ধর্ম করতে পারি নাই! তো বাপের বাড়ির সব কিছু নিয়ে নিয়ে আসে আমি, যে ঘরে তোমার বাবা এখনো থাকে, ওই ঘর বানিয়ে দিয়েছিলাম কেন? ২০২৩ সালেও বই পত্র পত্রিকার পয়সা কড়িগুলো জমিয়ে অন্তত ৩ লাখ টাকা কম করে হলেও ওই বাড়িতে কেন ইনভেস্ট করে আসলাম?? গাছ লাগালাম। গেট বানিয়ে নতুন করে ঘিরে দিয়ে আসলাম, ঘরের নষ্ট হয়ে যাওয়া ফুটো টিন বদলা দিছি। বারান্দার সব টিন বদলিয়েছি। ঘরের দেয়ালের ফাটা, সিমেন্ট দিয়ে লাগিয়ে দিছি, রনিদের বাড়ি থেকে ছাগল গরু ঢুকতো তাই রনিদের গেটে নিজে তালা শিকল বানিয়ে লাগিয়ে দিয়েছি ইত্যাদি এগুলো কেন করলাম? আর আমি তো বেরিয়ে অবাধ্য চরিত্রহীন মেয়ের মত তোমার বাবার সাথে আসি নাই? দুই পক্ষের সমাজের এবং সংসারের আত্মীয়স্বজন লোকজন গিয়ে আমাকে বিয়ে তার সাথে করিয়েছিলো এরপর উঠিয়ে নিয়ে এসেছিলো। এমনকি আমি ছোট মানুষ হওয়ায় আমার বিয়ের কবুল টাও আমার সেজো মামি তার কোলের উপর আমাকে বসিয়ে বলেছিলেন। সেই আমি চুটিয়ে সংসার করেছি, বাড়িঘর করেছি, সেটা কি লোকে দেখি নাই? এখন সারারাত জেগে লিখি তখন সারারাত জেগে ওই পুকুরের মত দোপ জায়গার বাড়িতে, মাটি তুলতাম! আর বাড়ি সুন্দর বানাতাম! ধান চাল মাঠ ঘাট এর কাজও সবার থেকে শ্রেষ্ঠ আকারে উদ্ধার করতাম। মানুষ যার জন্য কত হিংসা করেছে! আর যারা ভালো মানুষ ছিলেন খুশি হয়েছেন! প্রশংসা করেছেন! যতটুকু ব্যবধান তোমার বাবার পাড়ায় বেড়ানোর প্রভাব, মাতব্বর মানুষের। মাতব্বরি করার এক ধরনের প্রসেসে, সেটা সমাজ সংসারের ক্রিটিক্যাল এবং তার চরিত্রের জন্য! বয়স বেশি হলে কি হবে? তার বুদ্ধি কম নিজের স্ত্রীকে রেখে পড় নারীকে সম্মান করা, পরনারীর সাথে চলা, পরনারীর ঘরে বসবাস করা, পয়সা করি সেখানে দিয়ে দেওয়া, পর নারীর সংসারের সবকিছু দেখাশোনা করা, এইগুলোতে সে পারদর্শী!! আমার যখন জন্ম হয়েছে, তার পূর্ব থেকে বা তখন থেকে এই সমস্তে জড়িত ছিল লোকটা ! কেননা আমি হলাম মাহফুজার অনেক ছোট, বুড়ি হালিমা এবং জামালের জুটি। অর্থাৎ সে আমার থেকে অনেক অনেক বড়! কিছুই না করে আরাম আয়েশে থাকে বলে, বোঝা যায় না। সে আমার মায়ের জুটি, মায়ের থেকে বড়ই হবে। সেকেলে ঝড়ো বিয়েতে এক রাতে আমার নানীর এবং আমার শাশুড়ির বিয়ে হয়েছিল। আমার যখন বিয়ে হয়েছিল তখন এটা ওই সময়ের মানুষজন, আমাদের বাড়ির, আমার নানীদের বাড়ির এবং তাদের বাড়ির লোকেরা হিসাব-নিকাশ করে বের করেছিল। তাহলে অত বড় বয়স্ক একজন মানুষের অভ্যাস স্বভাব চরিত্র, অল্প ১২ বছর বয়সের ভদ্র সর্বোচ্চ সম্মানিত গুষ্টির একজন সাদামাটা সভ্য মেয়ের পক্ষে ঠিক করা কি সম্ভব? নেতর পিচট নিম্ন বংশের অসভ্য মেয়ে হলে সম্ভব ছিলো। ঝগড়া মারামারি নেটা পেটা বাঁধিয়ে ঠিক করতো। আমি তো ঐরকম সেয়ানা পাকাপোক্ত ছিলাম না তাই আমি পারি নাই, মন্দকে ভালো বানাতে মন্দ হতে হয়। চোর ধরতে চোর হতে হয় যেমন। মন্দ হয়ে তার ভালো না বানাতে পারাটা আমার ব্যর্থতা। তোমার স্ত্রী শিরিন যদি ১২ বছরের মেয়ে হতো এবং এখন তোমার যে বয়স, এখন তোমার সাথে ১২ বছরের শিরিনের বিয়ে হত, তাহলে তোমার রানিং স্বভাব ও কি পাল্টাতে পারতো? আমি তো তোমার বাবাকে কাপতে কাপতে স্কুলের শিক্ষক মনে করে, স্যার বলতাম। স্যার বলে ডাকতাম। সে আমার অনেক বলেছে আমি তোমার স্যার না। কোথাও যেতে ট্রেনের মধ্যে বাসের মধ্যে মানুষ বলেছে বাবার সাথে কোথায় যাচ্ছো লক্ষী পক্ষী সোনা মনি? তোমার বাবা বলেছে ভাই মেয়ে না। ও আমার স্ত্রী। আর সেই মানুষটা জিব্বায় কামড় দিয়েছে! না হয় জেনে নিতে পারো তার কাছ থেকে কেননা সে এখনো জীবিত আছে! বয়সের কারনে স্মৃতিশক্তির সমস্যায় হয়তো মনে করতে তার দেরি হবে। তবে চেষ্টা করলে মনে হয়ে যাবে বিশ্বাস করি এবং স্বীকার করবে। তুমি তোমার স্ত্রী শিরিনকে ভয় পাও, র কথায় চলো, পরিচালনায় থাকো, সেটা ও তোমার প্রায় সমবয়সের তাই। তোমার বাবার ওই স্বভাব চরিত্র, ওর ভাই বোন মা বাবা চাচা চাচি খালা খালু, ফোপা ফুপু সবাই জানতো। প্রতিবেশীরাও তার এটা জানতো। কিন্তু মাতব্বরি করায়, সে তো মানুষ চড়াত। বাইরে অবাধে চলতে চলতে আমার সাথে বিয়ে হওয়ার আগেই ওর সব প্রায় ধজভঙ্গ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। তারপরও আমার দুইটা বাচ্চা আল্লাহ দিয়েছিল তাই তোমরাদের পেয়েছি। এরপরে তাও ২০ বছর হবে, ওর সব বিলকুল ধুয়ে মুছে নষ্ট হয়ে গেছে! পুরুষত্ব বলতে ওর কিছুই নাই। তবে আমাকে ছাড়া বাইরের নারী এবং পর নারীর সাথে ওর গল্প গুজব করা, গল্প গুজব শুনার স্বভাব, এইটা রয়ে গেছে। গল্প গুজবে মত্ত থাকায় ওর প্রশান্তি ইন্টারেস্টেড মাত্রা ছাড়া। আমি তো হিংসা এবং শয়তান নই যে তোমার বাবার এই স্বাধীনতাই বাধা দিয়ে কষ্ট দেবো। এলাকায় জানান দিয়ে ডিসক্রেডিট করবো। তার গল্প গুজব শোনার স্বভাব যা এখনো রয়ে গেছে, নিরবে মেনে নিয়েছি। এবং আমি চরিত্রের দোষ তাই আর এখন দিচ্ছি না কারণ ওর তো সব নষ্ট। নষ্টের জন্য আমাকে ডরাই। আমাকে পাশে পেতে চায় না। আমি দূরে সরে থাকি সেটাই চাই। আবার আমি যে একটু ট্রাই করবো, সুস্থ বানানোর জন্য, তোমার শাশুড়ি এবং সেয়ানা স্ত্রীর, ওর উপরে অদ্ভুত রকমের দৃষ্টি রাখার জন্য, সেটা হয় না। ওদের পাহারা দেয়ার জন্য, পারিনা। রিলাক্সে সেই পরিবেশ নাই যে ওকে আমি একটু স্বাভাবিকতার জ্ঞান বিদ্যা দেবো চেষ্টা করবো। গ্রামের বাড়িতেও মানুষের পায়তারা, ও আমাকে ফেলে বাইরের মানুষের কাছে চলে যায়। যেহেতু বাইরের মানুষে ইন্টারেস্টেড, আমার প্রতি ইন্টারেস্টেক নয়। তাহলে এখানে আমার কি দোষ হলো? আমি কি মূর্খ না চরিত্রহীন? আমার ঘরের কথা পরের লাগাবো জানাবো জাহেরী করবো। অতি বাধ্য হয়ে এতদিন পরে তোমার খাইজলোতেই বিষয়টা জানালাম। স্বামী আমার এড়িয়ে চলে ভালো জানে না, এই কথা বলে শিরিন এবং ওর বিধবা মা আমাকে অনেক খোটা দিয়েছে। যা তা বলে অপমান করেছে। একটু থেকে একটু হলেই এই অপবাদ আমার দেয়, যে আমি স্বামীর নিয়ে সংসার করি নাই। স্বামী আমাকে অপছন্দ করে। তবুও আমি ওদের কাছে বলি নাই। আমি কখনো কারোর কাছেই বলি নাই। বংশ একটা আলাদা জিনিস। এইজন্য কথায় আছে, জাতির মেয়ে কালোও ভালো, নদীর জল ঘোলাও ভালো। যদি আমি নিম্ন শ্রেণীর ঘরের মেয়ে হতাম, কবে ঝগড়া ঝঞ্ঝাট বাধিয়ে এগুলো ফ্লাস করে দিতাম। কবেই অন্য ছেলেদের সাথে, খারাপ বংশের মেয়েদের মতো, চরিত্র নিয়ে খেলতাম। লিপ্ত হতাম চরিত্র দোষে পর পুরুষে। নতুবা বিয়ে করতাম দু’চারটা। সারারাত না লিখে, আল্লাহর সাথে দোস্তি না করে, সারারাত শয়তানি করতাম। দেহ দিয়ে বেড়াতাম। আমার ঘরে মানুষ কাজ করতে আসে, মানুষকে নিয়ে যে কাজ করি, তুমি সময় দিতে পারো না তাই। তুমি এনার্জিতেও পারবে না তাই আমি অন্যর দিয়ে কাজ করিয়ে নেই। আর তুমিতো ঘড়ি মেপে আমার এখানে কাজ করেছো। তুমি শিক্ষিত ছেলে অশিক্ষিতর কাজ তাই তোমার দিয়ে করায় না। যেটা অন্যকে দিয়েও করানো যায়, সেটা তোমার দিয়ে করায় না। বেশি কাজ আমার যতই থাক, সে ধার তো তুমিও ধারণা। তোমার বাবা কবেই এসে গেছে? আমার খাটের উপর এর জিনিস পত্র কাপড় চোপড় গুলো বেডিং পত্রগুলো ওই যে ঠাসাঠাসি করে নিচে রেখেছো, আর তার বিছানা করে দিয়েছিলে। কই ওদের বিছানার চাদর ঠিকই পরিষ্কার করেছো। কিন্তু আমার গুলো নিচে রেখেছিলে, উঠিয়েও দাও নাই। সেই থেকে নিচেই ঠাসাঠাসি করে ফেলে রেখেছো! কাজেই আমি বাকিটুকু যার দিয়ে যেটা সম্ভব অন্যর দিয়ে করিয়ে নিই। সবকিছুতে তো তুমিই কান দিতে চাও না। পরামর্শ করতে এবং শুনতে চাও না। কিছু বলতে চাইলে তো তুমিই বিরক্তিত হও। সময় পাওনা সোনার। আর ওরাতো আমার সাথে কথাই বলেনা। তাহলে আমার দরকার প্রয়োজন কে শুনবে? কে দেবে করে, আমার তো মেয়ে নাই যে মেয়ে আমার কাছে বসে নিরিবিলি শুনবে, যেমন তোমার স্ত্রী শিরিন শুনে ওর মায়ের থেকে। টুকটুক করে আমার দরকার প্রয়োজন শুনবে এবং সাপোর্ট করে সেভাবে সেবা যত্ন করবে। যেমন শিরিন টুকটুক করে শুনে ওর মাকে করে। তুমি আমার মোটরসাইকেল থেকে, রান্নাঘরের মিট কেস, আমার সেলাই মেশিন, আমার পানি উঠানো মেশিন, আমার দাড়িপাল্লার সেট ইত্যাদি বিক্রি করেছো, খুব সুন্দর। কিন্তু আর তো পূরণ করে দাও নাই? মানুষের বেঁচে থাকতে সবই লাগে। এবং অল্প দিন বেঁচে থাকতেও যা লাগে, বেশিদিন বেঁচে থাকতেও তাই লাগে। খাওয়াসহ অন্যান্য সবই লাগে। কোনদিনও আমার প্রয়োজন আমার দরকার সেটা খেয়াল নাও না। পূর্বে তোমার বাবাও নেই

নি। আমি নিজেই তো আমার সবকিছু করি। আগেও তো আমিই করেছি আমার সবকিছু। এবং আমি চিরদিনই মানুষ দিয়ে কাজ করিয়েছি। আমার মা তো আর আমার কাছে কাজ করে দিতে থাকে নাই। বরং আমার কাছে না থেকে মা আমার কাজের মানুষের বেতন দিয়ে দিয়েছে। আমি অন্য মানুষ দিয়ে কাজ করিয়েছি। তুমি তো সেটা বেশ দেখেছো। এলাকাবাসী আত্মীয়-স্বজন সবাই জানে যে আমি অন্যের দিয়ে কাজ করিয়ে নেই। সেই গ্রাম, ওই কুষ্টিয়া এবং ঢাকার। তাহলে ফ্রিজ আমি ম্যানেজ করে আমার ঘরে বসালাম। তোমার শাশুড়ি যেমন তার ঘরে সেলাই মেশিন বসালো। টেবিলটা বাইরে দিয়ে রেখে, চেয়ারের উপরে পানি রেখে খাচ্ছে। আমি তো সেটা নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছিনা। তার ভালো লাগাটা আমার কাছে ভালো নাও লাগতে পারে তাই এই ব্যাপারে মাথা ঘামাবো কেন? আমার বাপ দাদার আদর্শে এটা ছিল না! যার যেটা সুবিধা নাক বাধিয়ে সিঁদুর নেওয়ার মতো, আগ বাড়িয়ে সেখানে বাধা দিইনা । তার রুমে তার যেভাবে প্রয়োজন, সেভাবে ভালো লাগছে, সাজাচ্ছে থাকছে, আমার তাতে কি?? ফ্রিজ তোমাদের ওদিকে বসাই নাই। জায়গা জুড়ে ডিস্টার্ব করি নাই। কষ্ট দিয়ে কাজ করাই নাই অন্যর দিয়ে করিয়েছে। তাহলে এখানে সমস্যা কি থাকলো?? যার জন্য কয়দিন ধরে খাবার পানিও দাও না! তুমি জানো আমি অসুস্থ ফিটার করা পানি ছাড়া খাইনা। ছি এত অমানুষ নোংরা, ওদের জায়গা থেকে, ওদের মত মানুষের জন্য, ঠিক আছে। তুমি কিভাবে হলে? এত স্বার্থপর এত লোভ তোমারও! একটা একটা করে আমার জিনিস নষ্ট ধ্বংস করার তোমারও ইচ্ছা? আল্লাহ জানে আল্লাহ জানে, আমাকে আল্লাহ চিনে। তোমার শাশুড়ি এবং স্ত্রী যার মনে যা, ফাল দিয়ে ওঠে তা! তাই আমাকেও চরিত্রহীনা মনে করে!!! চরিত্রহীনার জিনিস আবার নেওয়ার জন্য লোভও হয়! লোভে জ্ঞাঙ ব্ল্যাকমেল করা, অন্যের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলা, এই জিনিসগুলো করা খারাপ বংশের মানুষের জন্যই সাজে। মহান আল্লাহ যেন এই পথ থেকে আমাকে রক্ষা করেন, মুক্ত রাখেন, মুক্তি দেন।’ পুত্রবধূর মা এবং পুত্রবধূর দেওয়া, কানপড়া কান ভাঙ্গানিতে, পুত্রের নষ্ট হয়ে যাওয়ার নির্মম নিষ্ঠুর লিপির ‘বেদনা সংলাপ’ লিখতে লিখতে নানান রোগে আক্রান্ত ডাইবেটিস রোগী, দুর্বল অসহায় লেখক সাবিহা, ঘুমিয়ে যান। চিকুনগুনিয়া জ্বরে আক্রান্ত হওয়া মহা হিরিক পড়েছে চতুর্দিকে, এমন সময়ে বিছানা বালিশ মশারি ছাড়া এবং না খাওয়া অবস্থায় ঘরের মেঝেতেই বিভরে ঘুমিয়ে যান।

২২.১০.২০২৫ ইং, ভোর সাড়ে ৫টা, বৃহস্পতিবার।