উত্তরায় ১৩টি প্রতারণা মামলার আসামী র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার

প্রকাশিতঃ অক্টোবর ১৯, ২০২৫, ১৬:৪৫

স্টাফ রিপোর্টার : উত্তরার ব্রাইট ফিউচার হোল্ডিং লিমিটেডের ব্যবস্থপনা পরিচালক আকতার হোসেন সোহেল (৩৫) কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব—১। র‌্যাব জানায়, ২০১৪ সালে রাজধানীর উত্তরা ৩নং সেক্টরে প্রতিষ্ঠিত হওয়া ব্রাইট ফিউচার হোল্ডিং লিমিটেডের নামে আক্তার হোসেন সোহেল ২৪ মাসে ডাবল স্কিম, ৩৬ মাসে ডাবল স্কিম ও ৪৮ মাসে ডাবল স্কিমের প্রলোভন দেখিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। যার পরিমান প্রায় ৩০০—৪০০ কোটি টাকা। গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাবাদে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের কথা স্বীকার করেছে আক্তার হোসেন সোহেল। তার দেওয়া তথ্যানুযায়ী গ্রাহকের টাকায় ঢাকার আশুলিয়ার ইজারাকান্দি মৌজায় তিনি নিজ নামে ১৬২ বিঘা জমি ক্রয় করেছেন। আক্তার হোসেন সোহেলের স্থায়ী ঠিকানা রংপুর জেলার কাউনিয়া থানার ভল্লব বিষু গ্রামে। তার পিতার নাম সাইদুর রহমান। র‌্যাব জানায় এ বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গ্রাহকরা বিভিন্ন সময়ে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মোট ১৩টি প্রতারণা মামলা দায়ের করেন। এর মধ্যে ডিএমপি, ঢাকার উত্তরা পশ্চিম থানায় ৮টি মামলায় আক্তার হোসেন সোহেলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি রয়েছে। কয়েকজন ভুক্তভোগী র‌্যাব—১ বরাবর আক্তার হোসেন সোহেলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ দাখিল করার পর র‌্যাব—১ বিষয়টি আমলে নিয়ে ছায়া তদন্ত ও গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে। র‌্যাব এও জানায়, অভিযুক্ত ব্যক্তি অত্যন্ত চতুর প্রকৃতির লোক। তিনি কোন প্রকার মোবাইল সীম ব্যবহার না করে শুধুমাত্র হোয়াটসঅ্যাপে কল করে গ্রাহকদের সাথে যোগযোগ রাখতো। পরে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব—১ এর একটি আযানিক দল ১৯ অক্টোবর ২০২৫ তারিখ রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উত্তরা ৪নং সেক্টর থেকে আক্তার হোসেন সোহেলকে গ্রেফতারের পর একই দিন বিকেলে তাকে উত্তরা পশ্চিম থানায় হস্তান্তর করে র‌্যাব—১। ১৯ অক্টোবর ২০২৫ রবিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে র‌্যাব—১, সিপিসি—২ এর ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শহীদুল ইসলাম বিপিএম এক প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এসময় র‌্যাব—১, সিপিসি—২ এর ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী কমান্ডার শহীদুল ইসলাম জানান, ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ভিন্ন ভিন্ন নামে এরকম আরও অনেক প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে। যেখানে সাধারণ মানুষ অতিরিক্ত মুনাফার আশায় একইভাবে প্রতারিত হচ্ছে বলেও আশংকা করেন তিনি। ভবিষ্যতেও এ ধরনের প্রতারকদের বিরুদ্ধে র‌্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শহীদুল ইসলাম।