বিক্ষোভে উত্তাল জর্জিয়া, প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে ঢোকার চেষ্টা

প্রকাশিতঃ অক্টোবর ৫, ২০২৫, ১৩:৫২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জর্জিয়ার রাজধানী তিবলিসিতে ব্যাপক বিক্ষোভ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগদানের আলোচনায় স্থবিরতা ও গত বছরের নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভকারীরা শনিবার (৪ অক্টোবর) প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের পর পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে। বিক্ষোভে অংশ নেয়া হাজার হাজার মানুষ জর্জিয়া ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের পতাকা হাতে রাস্তায় নেমে আসে। রিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নিরাপত্তা বাহিনী জলকামান ও পেপার স্প্রে ব্যবহার করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
বিরোধী প্রধান দলগুলো স্থানীয় নির্বাচনে অংশ নেয়ার আহ্বান না মেনে নির্বাচন বর্জন করে আন্দোলনকে তীব্র করেছে। বিক্ষোভটি স্থানীয় নির্বাচনের দিনই অনুষ্ঠিত হয়েছে। সরকারের দমন নীতির প্রেক্ষাপটে নির্বাচন মূলত বয়কট করেছে বিরোধী দলগুলো।ককেশিয়ান দেশটি গত বছরের নির্বাচনে শাসক জর্জিয়ান ড্রিম পার্টির বিজয়ের পর থেকে সংকটে রয়েছে। এরপর থেকে সরকার ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগদানের সংক্রান্ত আলোচনায় বিরতি দিয়েছে।জর্জিয়ান ড্রিম প্রতিটি পৌরসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে, ভোটের হার ৮০ শতাংশের বেশি।গ্রেফতার ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন অপেরা গায়ক পাতা বুরচুলাদজে, যিনি বিক্ষোভের অন্যতম সংগঠক।
সরকার জানিয়েছে, সংঘর্ষে ২১ পুলিশ কর্মকর্তা এবং ছয় বিক্ষোভকারী আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।২১ বছর বয়সী ইয়া নামের এক তরুণী কালো পোশাক, হেলমেট ও গ্যাসমাস্ক পরে বিক্ষোভে যোগ দিয়েছিলেন।ইয়া বলেন, “আমি চাই জর্জিয়ান ড্রিম চলে যাক। আমি চাই আমার দেশ ফিরে পাই। আমি শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে চাই এবং আমার বন্ধুরা যারা বেআইনিভাবে কারাগারে আছেন, তারা মুক্ত হোক।”কারণ এর আগে কয়েকশ বিক্ষোভকারীকে সরকারি নির্দেশে ‘সড়ক বন্ধ করা’ আইনবিরুদ্ধ কাজ হিসেবে গণ্য করে ৫ হাজার জর্জিয়ান লারি জরিমানা করা হয়েছে।গত নভেম্বর থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগদানের আলোচনার স্থগিত সিদ্ধান্তের পর থেকে তিবিলিসিতে রাতভর বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।বিক্ষোভকারীরা রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি ও তাত্ক্ষণিক সংসদীয় নির্বাচন চাচ্ছেন।