ফুলবাড়ীয়ায় পুকুরের মাছ মরাকে কেন্দ্র করে মামলায় হয়রানির অভিযোগ

প্রকাশিতঃ সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৫, ১২:৫০

ফুলবাড়ীয়া (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি : ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়ায় উপজেলার কালাদহ ইউনিয়নের বিদ্যানন্দ গ্রামের স্থানীয় বছির উদ্দিনের দুটি পুকুরে মাছ মরে যাওয়াকে কেন্দ্র করে এলাকার শিক্ষক সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।

এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ১৬ আগস্ট স্থানীয় বাসিন্দা ও পলাশতলী আমিরাবাদ দাখিল মাদরাসা শিক্ষক শফিকুল ইসলাম ও বিদ্যানন্দ ফাজিল মাদরাসার অফিস সহকারী আসাদুজ্জামান সহ ৫ জনকে আসামী করে ফুলবাড়ীয়া থানায় মামলা করেছেন পুকুর মালিক বছির উদ্দিন। মামলায় এজাহারভূক্ত ২ নাম্বার আসামী ইদ্রিস আলী ওরফে ইলিয়াস ওরফে ইলি মিয়াকে বিদ্যানন্দ বাজার হতে ১৭ আগস্ট গ্রেফতার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী লিপিবদ্ধ করে পুলিশ। অপরদিকে পুলিশের বিরুদ্ধে থানায় নির্যাতনের অভিযোগ এনে ইলি মিয়া জানান, শারীরিক নির্যাতনের মাধ্যমে জবানবন্দী আদায় করা হয়েছে।

সাবেক ইউপি সদস্য সেকান্দর আলী, ফজলুল হক, ইউনুছ আলী এবং হযরত আলী সহ স্থানীয়রা বলছেন, কোন পুকুরে বিষ বা বিষাক্ত ট্যাবলেট ছিটালে ঐ পুকুরে সাপ-ব্যাঙ, কুছে, কাঁকড়া সবই মারা যাওয়ার কথা- কিন্ত উল্লেখিত পুকুরে মাছ মরে যাওয়ার ঘটনার কয়েকদিন পরও ঐ পুকুর থেকে মাছ সরিয়ে অন্য পুকুরে নেওয়া হয়েছে। তারা বলছেন, এ মামলার মাধ্যমে এলাকার সজ্জন ব্যক্তিদেরকে হয়রানি করা হচ্ছে।

মামলার বাদীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, একসময় মামলার বাদির সাথে আমরা যৌথভাবে মাছচাষ করতাম। বর্তমানে আমরা আলাদা হয়ে মাছচাষ করি। তাই পূর্বশত্রুতা বশত: হয়রানির উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে প্রতিহিংসার অংশ হিসেবে এ মামলায় আমাদেরকে জড়ানো হয়েছে। পুকুরে মাছ মরে যাওয়ার ঘটনায় আমরা জড়িত নই।

তবে মামলার বাদী পুকুর মালিক বছির উদ্দিন বলেন, প্রথমে অভিযোগ করা হয়েছিলো। পরে সন্দেভাজন ব্যক্তির আত্মীয়দের সহযোগিতায় তাকে থানায় নিয়ে এজহার করা হয়।

কালাদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: নজরুল ইসলাম বলেন, যেহেতু বাদী-বিবাদীরা একসময় যৌথভাবে মাছচাষ করতেন, সেহেতু প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে কেউ কাউকে দোষী সাব্যস্ত না করেন। আমি তদন্তকারী কর্তৃপক্ষের নিকট সঠিক তদন্তের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান প্রত্যাশা করছি।

সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম বলেন, মাছ মরার বিষয়ে পুকুরে অক্সিজেন স্বল্পতার লক্ষন পরিলক্ষিত হয়েছে৷

ফুলবাড়ীয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ রুকনুজ্জামান থানায় আসামি নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, থানায় আসামী নির্যাতনের প্রশ্নই উঠে না। এ মামলায় তদন্ত চলমান রয়েছে। তদন্ত শেষে বিজ্ঞ আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।