সৈয়দা রাশিদা বারী:এটা কিসের বাজিমাত? উফ!! নারীর আন্দোলনেও পুলিশের বাজিমাত! পুরুষের বাজিমাত থেকেই নারী আন্দোলন! আবার নারী আন্দোলনে পুলিশের বাজিমাত! এইসব কত আর দেখবো। লিখবো। কেমন করে শক্ত কাপড়ের বোরখার মধ্যে নিজেকে বেঁধেও, এই দগ্ধ গরমে শরীরটাকে ডবল পর্দার কাপড়ের মধ্যে আটকিয়ে …. আজ পুরুষের সমান, সম অধিকার পাওয়ার দাবিতে এই ভাবে রাস্তায় মেয়েটি অসম্ভব গরমে, বোরকার মধ্যে আটকিয়ে নাজেহাল হচ্ছে! সমাধিকার তো পাবেই না শুধু শুধু শরীর স্বাস্থ্যে অসুস্থ হয়ে পড়বে! তখন ঘরেও অধিক নির্যাতনে ভুগবে! বিছানায় কাতরাবে! কেউ দেখবে না! সাধারণত নারীর বিপদে কেউ পাশে আসে না! থাকে না! এইভাবে রাস্তায় নেমে পুরুষের বিপক্ষে আন্দোলন করলে, মেয়েটার শরীর তো এমনিই ভেঙ্গে যাবে নষ্ট হয়ে হবে। মানুষেরও হবে চক্ষু সূল! আমার দেশের আমার সমাজের আমার নারীরা পুরুষতন্ত্রের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে!! মানে জন্মদাতা বাপের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে! মানে পেটের ভাইয়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে! পেটের পুত্রের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে!
হে আল্লাহ তুমি আমাকে মাফ করো, যে আমি রাস্তার কোন আন্দোলনে যায় না?! শুধুমাত্র তোমার দয়ায় মায়ায় গুণ গরিমাই! সত্যিই তুমি আমার জীবনে অনন্য! আমি ধন্য আল্লাহ আমি ধন্য! আমি তোমার উপরে কৃতজ্ঞ!
কেননা তুমি আমাকে আমার বাবার বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে, আমার ভাইয়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে, পুরুষের বিপক্ষে আন্দোলন করতে, রাস্তায় পাঠাও না।
আমি আমার মনের কথা, যত আকুতি বিকুতি আমি তোমার সাথে শেয়ার করতে পারি, ঘরে বসেই!! আমার জীবনে আজ সত্যিই তুমি চমৎকার সাজেস্ট করো বলো লিখতে! বলোনা রাস্তায় নামতে!! এই যে এখনো, তোমার অনুমতিক্রমেই আমি লিখতে বসলাম:
একটা কথা আছে না? হাত বাঁধবে, পা বাধবে, মন বাঁধবে কে? কিভাবে? ঠিকই তো।
কতদিন আর চলবে এভাবে? পুরুষ নারীর মানসিক যুদ্ধ! মানবিক যুদ্ধ! জুলুম জালেমী করে কি সব কিছু পাওয়া সম্ভব? সব হয় নাকি?
জাপিত জীবনের প্রত্যেকটা মানুষের প্রয়োজন, নারী হোক আর পুরুষ হোক, সেক্রিফাইস একটা হলো বড় বিষয়। তুমি আল্লাহ তোমার স্বয়ং পরিচালিত নিয়ন্ত্রিত নারী পুরুষের জন্য যা দিয়েছো, সেখানে কোন বৈষম্য নেই! কত সুন্দর করে সমান অধিকারে বন্টন করেছো। ইস কি সুন্দর! প্রকৃতির সাপলাই অক্সিজেন! নারী পুরুষের সমান বিশ্বাস বন্টনের সম্পদ সম্পত্তি। সমান অধিকারের তোমার আলো বাতাস আকাশ মাটি পানি রোদ বৃষ্টি ঝড় পাহাড়-পর্বত নদী সাগর ইত্যাদি! ঘাপলা নাই দুই নাম্বারি নাই নিষ্কলুষ নির্ভেজাল আল্লাহ গো তুমি সত্যিই অনন্য! অদ্বিতীয়!
আমি বড়ই মুগ্ধ এবং আনন্দিত গৌরবান্বিত আমাকে তোমার ও তোমার একান্ত সচিব একান্ত মন্ত্রী তোমার বন্ধু রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বান্দা ভেবে।
তোমার দুনিয়ায় ক্ষুদ্র পরিসরে রাষ্ট্রীয় নীতিমালার প্রথম এবং প্রধান শর্ত যেমন: রাষ্ট্রের প্রত্যেক নাগরিকের জন্য খাদ্য বস্ত্র বাসস্থান চিকিৎসা নিরাপত্তা সুনিশ্চিতকরণ করা রাষ্ট্র প্রধানের দায়িত্ব। এই বন্টন খাতও তোমার মতন বৈষম্য মুক্ত। শুধু পুরুষের জন্য নয়, নারীরও সমান অধিকার রেখে করা। রাষ্ট্রীয় দায়িত্বের এখানে নারী-পুরুষের সমান অধিকার বৈষম্যহীন অধিকার মেইনটেইন করে নীতিমালা করা। ফাইন।
রাজনীতির মাঠ আর মানুষের মনুষ্যত্বের মানবিক মাঠ, পুরুষ এবং নারীর জন্য পার্থক্য কোথায়? পার্থক্য নাই। পার্থক্য করলে প্রকৃত সুখী সমৃদ্ধশালী হতে আগে দূর করতে হবে জুলুমবাজ কলঙ্কিত মনুষ্যত্বের মানবিক ভাইরাস।
নরম মাটিতেই তো বিলেই…. নির্লজ্জ বেহা এবং স্বার্থন্বেষী অত্যাচারী পুরুষের এক তরফা একঘেয়েমি নীতি আদর্শের নিকৃষ্ট ভাইরাসই দূর করা আগে প্রয়োজন।
ব্যথা যার দায় তার। খাল কেটে কুমির আনার মত, যুগে যুগে সহজ সরল হৃদয়য়িনী মমতাময়ী মেয়েরা, মায়েরা, স্বার্থন্বেষী অকৃতজ্ঞ পুরুষকে পুরুষের মতো আবিষ্কার হতে সুযোগ করে দিয়েছিলেন! ব্যক্তিগতভাবে সাহায্য করেছেন। এই ছাড় নিজের কষ্ট মেনেই দিয়েছিলেন!!
তিনারা বুঝতে পারেন নাই এটা গলার গাড় হবে কাটা হবে একদিন নারী জাতির! পরবর্তী প্রজন্মদের কথা না ভেবে এবং না বুঝে, তিনারা নিজের সুখ শান্তি বিসর্জন দিয়েছিলেন! এই সুযোগটা, সুযোগ সন্ধানী পুরুষ, তিনারা নীতিমালাই পরিণত করবেন, নারীরা বুঝেন নাই!
সেটাই এখন নারী জাতির কাল হয়ে গিয়েছে! এখন যেটা নারী জাতির জীবনের উপর উঠেছে! গলার গাড় গলার কাঁটা গলার বিস্ফোরণ রূপে! গলার গাড় যেমন, না উগরানো যায়, না গিলা যাই! তেমন হয়েছে!
এজন্য কথায় আছে ভাবিয়া করিও কাজ করিয়া ভাবিও না! ভাববে আর কি ১০০ বছরের উপরে কোন নারী তো আর বাচেন নাই! তারা তো দয়াল সেজে ভালই ভালই দুনিয়া ছেড়ে চলে গেছেন! বুঝতে পারছে ঠেলা পরবর্তী প্রজন্মের নারীগণ। তবে যেসব নারী, ভালো পুরুষের হাতে পড়েছে, তারা ভালই আছে, তারা বুঝতেছে না! এই জন্যই তো সব নারীর মানসিকতা এক হচ্ছে না!?
এখন হয়েছে যে এমন, ব্যথা যার হিসাব তার। কষ্ট যার দাই তার। এখন এই প্রজন্মের অধিকাংশ নারী ভুগতেছে! কঠিন মূল্যে পূর্ব নারীদের ভুলের মাশুল গুনতেছে!! হুম গুনে গুনে শোধ করতেছে ভুলের ঋণ জরিপনা! এই আর কি অবস্থা!!
মানুষের আল্লাহ জিনিসটা যেমন অদৃশ্য এক শক্তি। সেই আল্লাজন তিনি, যিনি কারো অন্তর হরণ করতে পারেন! হৃদয় খরিদ করা জনই নাকি যার যার আল্লাহ মহাজন! যার মধ্যে যে বিরাজমান!
কথাটা আমার নয়, কোন এক বিজ্ঞজনের সাক্ষাৎকার নিতে, তার বলতে দেখেছিলাম অর্থাৎ তার থেকে জেনেছিলাম বা শুনেছিলাম আল্লাহ নাকি মানুষের মনের রাজা!
যেহেতু বিশ্বাসের জিনিস।আল্লাহর দেখা যায় না, ধরা ছোঁয়া যায় না এবং একমাত্র একজনই। এইজন্য যার মন যাকে আল্লাহ মানে! সেটা সাগর নদী মরুভূমি গাছ ইট পাথর পর্বত ব্যক্তি যে কিছু হতে পারে! সেই জন্যই তার আল্লাহ!
জ্ঞানপন্ডিত বিজ্ঞজন গণক ঠাকুরের এই হিসাব, গণনা, সাক্ষাৎকার নিতে নিতে, আমি তো মনে মনে পড়লাম নাউজুবিল্লাহ মিনাজ জোয়ালিমিন! নাউজুবিল্লাহ- ওয়াস্তাগফিরুল্লাহ!
মহান আল্লাহ আর তার রসুলই আমার অন্তরের অন্তর, অন্তসর। স্রষ্টা প্রভু আল্লাহ মনের গুরুজন, মানষপটে আমার মালিক। আমি অন্য আর কিছু জানিনা। এই ব্যাপারে আমি মূর্খ!
আল্লাহ তুমি আমার, স্বয়নে স্বপনে জাগরণে অন্তরের অন্তস্থলে মিশে থেকো! আমার সবকিছুতে তোমার অস্তিত্ব ধন্য ধন্য রবে জুড়ে একাকার করে রেখো! সর্বান্তকরণে সার্বিকভাবে তোমার বান্দারাও যেন আমার পাশে থাকে, সেটা দেখো। আমিন।
৯. ৯. ২০২৫ ইং, দুপুর ৩টা, মঙ্গলবার।