তরুণ প্রজন্মের জনস্বাস্থ্য রক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের দাবি

প্রকাশিতঃ অক্টোবর ১৯, ২০২৫, ১৬:৪২

স্টাফ রিপোর্টার : তরুণ প্রজন্মকে তামাকের ভয়াবহ আসক্তি ও স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে রক্ষায় দ্রুত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের দাবি জানানো হয়েছে।

রবিবার ১৯ অক্টোবর বিকেল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত ঢাকার জাতীয় জাদুঘরের সামনে আর্থ ডেভলপমেন্ট ফাউণ্ডেশন (ইডিএফ), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান আর্থ ক্লাব এবং বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট (বাটা)’র যৌথ উদ্যোগে এক মানববন্ধন ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, তামাক কোম্পানিগুলো বিভিন্ন কৌশলে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে প্রভাব বিস্তার করছে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি। তারা সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, যেন দ্রুত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন করে কার্যকর করা হয়, যাতে তরুণ সমাজকে তামাকের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করা যায়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রফেসর এ এফ এম সরোয়ার, সাবেক উপাধ্যক্ষ, বাংলাদেশ ডেন্টাল কলেজ ও গবেষণা উপদেষ্টা, সেন্টার ফর ল অ্যান্ড পলিসি অ্যাফেয়ার্স (CLPA)। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, “তামাকের বিরুদ্ধে লড়াই কেবল স্বাস্থ্য রক্ষার নয়, এটি এক প্রজন্মকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচানোর সংগ্রাম।”

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট (WBB), ডেভেলপমেন্ট অ্যাকটিভিটিজ অফ সোসাইটি (DAS), ব্যুরো অফ ইকোনমিক রিসার্চ, বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর টোব্যাকো ট্যাক্স পলিসি, টোব্যাকো কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ সেল, মানস ও CLPA-এর প্রতিনিধিরা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ফাইয়ায আনাম স্বনন, ইয়ুথ অফিসার, ইডিএফ।

প্রধান বক্তাদের মধ্যে মো. সুজন হোসেন বলেন, “তামাক কোম্পানিগুলো যুবসমাজকে আকৃষ্ট করতে নানা প্রলোভনমূলক কৌশল নিচ্ছে।” সামি সাঈদ বলেন, “তারা মিথ্যা পরিসংখ্যান ও প্রচারণার মাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।” ফারহানা জামান লিজা, উম্মে জান্নাত কনী ও আমিনুল ইসলাম তামাকের স্বাস্থ্যঝুঁকি ও করপোরেট প্রভাব সম্পর্কে সতর্ক করেন।

মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা একযোগে দাবি জানান—
তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন দ্রুত সংশোধন ও বাস্তবায়ন করা হোক।
তামাক কোম্পানির বিজ্ঞাপন, স্পনসরশিপ ও করপোরেট প্রভাব সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হোক।

তারা ঘোষণা দেন, ভবিষ্যতে তামাকবিরোধী সচেতনতা কর্মসূচি দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও জনসমাগমস্থলে চালিয়ে যাওয়া হবে, যাতে গড়ে ওঠে “তামাকমুক্ত তরুণ প্রজন্ম”।