নিজস্ব প্রতিবেদক: তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন সরকারের প্রশংসনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ঢাকা সিভিল সার্জন কার্যালয়। জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় এবং বিদ্যমান আইনের যথাযথ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় তামাকবিজ্ঞাপন অপসারণ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।
বুধবার ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ঢাকার সিভিল সার্জন অফিসের সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা শাহানা পারভীন এর নেতৃত্বে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয়কেন্দ্রগুলোতে অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় দোকান মালিক ও সাধারণ জনগণকে ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫’ সম্পর্কে অবহিত করা হয় এবং আইন লঙ্ঘনের শাস্তি বিষয়ে সচেতন করা হয়।
অভিযান চলাকালে সংশ্লিষ্ট দোকানগুলো থেকে বিভিন্ন তামাকবিজ্ঞাপন ও প্রচারণা উপকরণ অপসারণ করা হয়। একই সঙ্গে তামাকবিরোধী লিফলেট বিতরণ এবং দোকানগুলিতে ‘নো-স্মোকিং’ সাইনেজ লাগানো হয়।
এই অভিযানে উপস্থিত ছিলেন জুনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা মাহবুবা জেসমিন এবং বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট (বাটা)-এর প্রতিনিধি কৃষ্ণা বসু, কানিজ ফাতেমা রুশি ও মো. শাওন মিয়া।
অভিযানটি তথ্য ও কারিগরি সহযোগিতা প্রদান করে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট (বাটা), জাতীয় যক্ষ্মা নিরোধ সমিতি (নাটাব) এবং ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট।
সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা শাহানা পারভীন জানান, “তামাক নিয়ন্ত্রণে সরকার এখন দৃঢ় অবস্থানে আছে। আইন বাস্তবায়নের এই কার্যক্রম রাজধানীসহ সারাদেশে পর্যায়ক্রমে অব্যাহত থাকবে।”
বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের দপ্তর সম্পাদক সৈয়দা অনন্যা রহমান বলেন, “সিভিল সার্জন কার্যালয়ের এ উদ্যোগ সরকারের জনস্বাস্থ্যবান্ধব দৃষ্টিভঙ্গির পরিচায়ক। আমরা আশা করি, ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান নিয়মিতভাবে চলবে।”
তামাকবিজ্ঞাপন অপসারণ অভিযানে অংশগ্রহণকারীরা মনে করেন, এ ধরনের উদ্যোগ জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও তামাক নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।