সৈয়দা রাশিদা বারী
যেখানে বৈষম্য অন্যায় সেখানেই ক্ষোভ সংহতি প্রতিবাদ প্রতিহত আবির্ভূত হয়। আর সেটা বহুব্রীহি ঝড় ঝাপটার মধ্য থেকেই সৃষ্টিকৃত আবিষ্কৃত। কতশত মিছিল মিটিং হরতাল অবরোধ অনশন এর রাস্তা পেরিয়ে, তারপরে হয় নবমীর সূর্য উদয়। এভাবেই যুগে যুগে কালে কালে শতাব্দীর পর শতাব্দী সৃষ্টির মুনিব স্রষ্টার কোটি বছরের পৃথিবীতে, কোটি রকমের আদেশ আইন শৃঙ্খলার বহুব্রীহি নির্দেশ নিদর্শন উত্থান পতন হয়েছে হবে। আল্লাহর দুনিয়ায় নানাবিধ মানুষ, মানুষরূপে যারা এসেছেন, এসেছিলেন, যত বড় শক্তি প্রবল হয়েই পদক্ষেপ রেখেছেন, কেউ নাই! সবাই পরপারে চলে গেছেন! তাই তারা মানুষ। আল্লাহর সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ প্রাণী মানুষ! তবু মরে গেছেন, মরে যান, যাবেন! আবার শ্রেষ্ঠ প্রাণী মানুষের সৃষ্টিকৃত যা কিছুর উত্থান পতন হয়েছে, হচ্ছে, হবে। মানুষের শক্তির আদলে সৃষ্টিকৃত সৃষ্টি, মানুষের শক্তির আদলেই ধ্বংস হয়েছে হচ্ছে হবে। মানুষের সৃষ্টিকৃত কিছুই থাকবে না। মানুষের অতল গহব্বরের যাপিত জীবনের, জীবন চিত্র, জন্ম মৃত্যুর রহস্য আল্লাহর। আল্লাহর বাইরের হাতল নারী-পুরুষ বৈষম্যর আদলে গড়া শ্লীলতা সৃজনতার রদবদল হতেই থাকবে, হতেই থাকবে, হবে। দেশ রাষ্ট্রর অস্তিত্ব বলতে মাটি যেমন থাকবে। পরম আল্লাহর, মালিক আল্লাহর, স্থায়িত্ব মাটির ধ্বংস নাই। মানুষের ধ্বংস আছে। মানুষের আওতাধীন সবকিছুরও ধ্বংস আছে। আল্লাহর নীতিমালা বিধি-বিধান প্রকৃতির তান স্পৃহা, প্রাকৃতিক ঐশ্বর্য যা শুধুমাত্র স্রষ্টা পরিচালিত, মহান আল্লাহ পরিচালিত, মানুষের ধরা ছোয়ার বাইরের। সব পন্ডিত বৈজ্ঞানিকের ধরা ছোয়ার বাইরের! একই থাকবে যুগান্তরব্যাপী, যুগ যুগান্তর!! কিন্তু মানুষ থেকে যা উৎপত্তি, নিয়ম হোক আর শৃঙ্খলা হোক, নীতিমালার আদেশ নির্দেশ যা হোক, নারী এবং পুরুষের উপরের রংতামাশারো যারি সারি কার্যকারীও, এক এসেছে এক গিয়েছে মানব নামের দানব কর্তৃক বলবো না তবে মানুষ কর্তৃক! এবং সেইসবের রদবদল শক্তির হাতলে, জোর যার মুল্লুক তার, শতাব্দীর পর শতাব্দী হয়েছে, হচ্ছে, হবে। শুধু আমাদের জন্মভূমি বদ্বীপ ছোট্ট একটু ঠিকানায় বাংলাদেশের কথিত প্রতিষ্ঠাতা, একসময়ের রাষ্ট্রপতি, ৫৩ বছরের বঙ্গবন্ধু বদলাবে কেন? সারা জাহানের আল্লাহর মাটির, আসল আধিপত্য স্থপতির সব জায়গায়, শতাব্দীর পর শতাব্দি আসা মানুষের আসনের সবার এমনই চেঞ্জ হয়েছে, হচ্ছে, হবে। মানুষের তৈরি কিছুই স্থায়িত্ব নয়। যেমন নবীজিরাও কালে কালে এসেছেন, হাজার বছরও বেঁচেছেন, তাদের নিয়ম নীতি দিয়েছেন এবং মানুষ লুফে তা নিয়েছেন। কারণ মানুষ তো নিয়ম শৃঙ্খলার শিকার, নিয়ম শৃঙ্খলার আওতাধীন। এর বাইরে নয়। তারপরও তিনারা ওই পারে চলে গিয়েছেন। পদ তো খালি থাকে না তাই তিনাদের স্থানে অন্য মানুষ বসেছেন। সে আবার তার নিয়ম জারি করেছেন এবং দুনিয়া ছেড়ে চলে গিয়েছেন। কেউ স্থায়িত্ব পৃথিবীতে নেই। তথাকথিত মানুষের বঙ্গবন্ধুর ৫৩ বছরের মতন, প্রত্যেকের নীতিমালার সীমানা রয়েছে। এমন করেই মানুষের নীতিমালার সীমানা যুগে যুগে কালে কালে, যুগের পর যুগ কালের পরকাল, শতাব্দীর আদলে, ইতিহাসে থাকবে। আল্লাহর মাটির যাইগাও থাকবে। নীতিমালা বদলাবে। মানুষ বদলাবে। মানুষের আদলে উত্থান পতন যোগ্য নীতিমালা রহস্য জাল একদিন পরিণত হবে রূপকথায়! নতুন এর আগমনে পুরাতন বিলিন, ষড়ঋতুর আদলে শুধু যে বাংলা নববর্ষ অলংকৃত মহত্বে গাছের পাতায় ঝরে গিয়ে ঘটে তা নয়। সব কিছুরই এমন হয়। অতএব পূর্বেও নতুন মানুষের আগমনে পুরনো মানুষ অস্তিত্বহীন হয়ে গিয়েছে, হয়ে যায়, হবে। যদিও কারো কারো জন্য সইতে কষ্ট তাই মেনে নিতে চায় না। কিন্তু তবু মেনে নিতে হবে, মেনে নিতে হয়। রবীন্দ্রনাথের সেই কবিতার মতো ‘হায় যেতে নাহি দিবো, তবু যেতে দিতে হয়, তবু চলে যায়। যুগে যুগে, যুগের চাকায় পৃষ্ট হবে এবং বদলাবে ধারাবাহিকতার অবঅব! এটাই দুনিয়ার নিয়ম। কিন্তু দয়াময় আল্লাহ, যে মহান আধিপত্যর স্থপতি, সাত আসমান জমিন দুনিয়াব্যাপী তার নেতৃত্ব কর্তৃত্বধীন, তিনি যে দান মেলে ধরেছেন, পৃথিবীর সকল জীবের জন্য, সেই দানের, তার সেই অনুদান আধিপত্যের রূপ পরিবর্তন নেই। তাইতো তিনি আল্লাহ। তাইতো তিনি স্রষ্টা। তাইতো তিনি দুনিয়ার সকল কিছুর মালিক মওলা। আমরা যে যত যাই করি না কেন? তার দয়ার বাইরে কেউ নেই! যেতেও পারবো না। ইহজীবনে পরজীবনে পৃথিবীর সকল জীব, আছি তারই খেদমতে। তাই তারই গোলাম থাকা আমাদের কর্তব্য এবং দায়িত্ব। স্রষ্টার প্রতি অনুগত থাকা ছাড়া, একসময়ের তুমুল ঝড় তোলা গানের গীতিকার ও অধ্যাপক আবু জাফরের ভাষ্যমতে কথা বর্ণনা ছিলো, দল রাজনীতি ক্ষমতার লড়াই, করাসহ বাইরের যা কিছু করা, সব মারহাবা বৃথা! অন্তত তার কাছে বৃথা! তার মতে সব উদ্ভ্রান্ত এবং ভুল। তবে আমার মতে সবচেয়ে বড় কথা হলো, সুখের কথা হলো, একনিষ্ঠ খেদমতকারী মহান দয়াময় আল্লাহর ডাকতে, তার সন্তুষ্টিকরণে অনুগত থাকতে, যেমন আলাদা সময় লাগে না। তেমন সমষ্টিগতও হওয়া লাগে না। যার যার স্থানের জায়গা থেকে, গভীর অন্তঃকরণে, রহমানুর রাহিম আল্লাহকে দিলের মধ্যে, রাখলেই হয়। আপন অস্তিত্ব বানিয়ে, চলার পথের সকল বলয়ের, নিঃশ্বাস বিশ্বাস বানিয়ে, স্বয়নে স্বপনে জাগরনে, আমার সে একান্তই আমার, এমন প্রেমে রাখলেই হয়। প্রেম মানুষের সাথে করতে হয় না। প্রেম করতে হয় নিজের অস্তিত্ব সাথে, মহত্বের সাথে অর্থাৎ আল্লাহর সাথে। জয় পরাজয় উত্থান পতন বিষয় নয়, সবকিছুতে যে আল্লাহ আমাকে ছাড়বেন না। ইহকাল পরকাল জন্ম জন্মান্তর আমার সাথেই থাকবেন। এক নীতিতে বিশ্বাসী, প্রেম আমার থাকবে, যিনি রহমান তিনিই রাহিম যখন। তখন সেই পাক পরোয়ার দিগারের সাথেই প্রেমে দেওয়ানা হলে, সেই সম্পদটাই সবচেয়ে বড় সম্পদ। মহান আল্লাহই মানুষের অস্তিত্ব স্থায়িত্ব প্রেম ভালোবাসা কাছের এবং দূরের বন্ধু।
১১. ১০. ২০২৫ ইং, দুপুর ২টা, শনিবার।