সৈয়দা রাশিদা বারী
একই পোশাক একই বেশ, তাতেও আছে নানান রেশ।
গুরু শিষ্য শিক্ষা আর গুরু শিষ্য দীক্ষা পরস্পরাই নৈকট্যের থেকেও নৈকট্যের। ধর্মটার বেলাইও সেরকম। এই সমস্ত ক্ষেত্রে যার যেটা বিশ্বাস, তার সেটা আশ্বাস। আর আশ্বাসটা পূজার ভুজার মতো মিষ্টি। দুর্গাপূজার প্রসাদ খেতে যেমন সুখ যেমন মিষ্টি। বিশ্বাসের আস্থার জায়গা থেকে, এক শ্রেণীর নারী আছে ভয়ংকর নারী। তাদের বিশ্বাসেই তারা ভয়ঙ্কর। ইসলামের কতগুলো যেন গোত্র! আর মাপ ছাড়া ধাপ অর্থাৎ উঠা নামার সিঁড়ি না, ইসলাম ধর্ম পালনের সিঁড়ি ! সাধারণত মানুষ পুরুষের নানাবিধ, ইসলাম ধর্ম পালন করাটাই জানে, নারীরটা জানে না। একই ইসলাম ধর্ম নানান জন নারী, নানান ভাবে পালন করে, মনে প্রানে বিশ্বাস করে। পুরুষ যেমন বিশ্বাসের জায়গা থেকে, একই মাজারের প্রতি নানান জনের নানান ধরনের দৃষ্টি আকর্ষণ এবং মতভেদ রচনা করে! কেউ মাজারে ভক্তি দেয়। এবং শান্তি অনুভব করে। কেউ এর ব্যতিক্রম। মাজার লুটপাত করে, ভাঙ্গে, আগুন জ্বালিয়ে দিয়ে পোড়াই! ইত্যাদি! এবং তারা এসবই শান্তি অনুভব করে! আরো অনেক কিছু আছে মতভেদের। এটা হল পুরুষেরা। তেমন নারীরাও আছে। যেমন লালন ভক্তদের একজন ফরিদা পারভীনের যেখানে সাঁইর বালামখানা। জাত গেল জাত গেল ইত্যাদি লালন ভক্তদের বিশ্বাস জাত বলে কিছু নাই। আর সন্তান মায়ের। মায়ের কোন জাত পাত নাই। কারণ মায়ের তো মুসলমানি দেয় না! পৈতা পড়ায় না! ইত্যাদি। মুসলমানদের মধ্যে এক শ্রেণীর নারীর ইবাদত মানে বিশ্বাস এই গোত্র সেইসবের একটা হবে। এরা যে বেশিনে পুরুষ মুখ ধোয়, পুরুষের অসাক্ষাতে সেই বেসিনের মধ্যে স্যান্ডেল শুদ্ধ পা নামিয়ে পা ধোয়! পুরুষের হাত মুখ মোছার তোয়ালিটা দিয়ে পা পাছা ইত্যাদি মুছে! যে যে পথ দিয়ে পুরুষ চলে! বা সবাই চলে। সব পথে নামাজ পড়ার মতোই পড়ে! তবে নারীর মত নয় পুরুষের মতো! নারী তো মার্জিতভাবে সেজদা দিতে হয়, ছেলেবেলায় যেটা ওস্তাদজি শিখিয়েছিলেন, সেই আলোকে বলছি। কোনই হাত মাথা ইত্যাদি সবকিছু যতদূর সম্ভব জায়নামাজের সাথে মিশিয়ে সেজদা দিতে হয় ইত্যাদি। উচু ভঙ্গিমায় নয়। আর এরা বেয়াদবের মত পাছা উল্টো বা উবদ্য যাকে বলে তেমন করে সেজদা দেয়। পা ভেঙ্গে দিয়ে না বসে, পায়ের গুমরউ পরড় উটুককারায় বসে। পুরা ভাগ পুরুষের মতন করে! এছাড়া নামাজ শেষে, জায়নামাজে পশ্চিম মুখো পা রেখে, গোপনাঙ্গ দারুন ভঙ্গিমায় মেলে, কুকুরের মতন বসা কায়দায় বসে থাকে! যদি বলা যায় ওইরকম না, ওটা নারীদের জন্য অমার্জিত অশোভনীয় লাগে। এইরকম। তখন বলে এটা কুরআন শরীফে নারী পুরুষের আলাদাভাবে নামাজ পড়ার নিয়ম উল্লেখ নাই। অতএব যেমন খুশি তেমন পড়া যায়। বসা যায়। নারী পুরুষের বসা এবং সিজদা দেওয়া, এসবের কিছু কোরআনের কোন পাতায় উল্লেখ নাই। যদি বলা যায় নামাজ পুতো পবিত্র করে রাখা নির্ধারিত একটি জায়গায় পড়তে হয়। তখনো এই একই কথা বলে। এবং তারা বাড়ি ঘরের সব জায়গায় ছাড়াও বেছে বেছে নোংরা নোংরা জায়গায় নামাজ পড়ে সিজদা দেয়! একবার বাথরুমের দরজায় রাখা স্যান্ডেলের মধ্যে জায় নামাজ পেড়ে। আরেকবার রান্নাঘরের দরজার সামনে। আরেকবার ফ্রিজের সাথে। মানে ফ্রিজ আর খোলা যায় না এমন ভাবে। আর একবার ঘরে ঢোকা প্রধান দরজার স্যান্ডেলের মধ্যে। এছাড়া প্রত্যেক ঘরে ঢুকার দরজার সামনে! দরজায় নানা পজিশনে অ্যাঙ্গেলে! এক দিনেই এই যে সব জায়গায় তা নয়। যেহেতু গোপনে না জানিয়ে এই সমস্ত জায়গায় পড়ে, সেহেতু সময় ও সুযোগ মতো! বাড়িতে সবাই থাকলে না। তখন ঘরের মেঝেই পরে। তবে সব সময়ই মোনাজাত করে আঁচল মেলে ধরে। আঁচল পেতে। কখনো আচল ছাড়া হাত তুলে ধরে করে না মোনাজাতে। যতই গরমকাল হোক, নামাজ পড়ার সময় হাতে মোজা, পায়ে মোজা দিয়ে নেয়। ব্যবহারিত কাপড়ের উপর দিয়ে, আস্ত একটা দামি পাতলা কাপড়ের আবরণ অন্য ধরনের বোরকার মতো সেটা পুরা দেহ জুড়ে চাপিয়ে নেই। দেহটাকে ছাপিয়ে যায়। তখন পুরা একটা বড়সড়ো বুচসকার মত লাগে। আমি দেখি বলে বুঝি মানুষটা। না দেখা আলা বা বাইরের কেউ বুঝবে না ওটা একটা মানুষ। মটকার মত লাগে। ওর মধ্য থেকেই উচ্চারিত হওয়ার মতন আকৃতি প্রকাশ পায়! পাছা আকাশ মুখো তুলে সিজদার সাদৃশ্য জানান দেয়। পুরাপুরি বুঝা যায়। জোরে সোরে ঘর জুড়ে ফ্যান ছাড়া থাকে,, রুমের মধ্যে এসিও আছে। সেটা ফেলে বাইরে সবাই চলাচলের, ঘুরে বেড়ানো জায়গা গুলোতে, নানান পজিশনে, নামাজ পড়ে। সাধারণত পাতলা ঢোলা ঢোলা কাপড় পতাকার মতো ওরে। যারা অভ্যস্ত নয় তারা ভয় পাওয়ার মত আনকমন এক দৃশ্য! এইতো হল একশ্রেণীর নারীর নামাজ পড়ার আকৃতি এবং সাদৃশ্য। চলাফেরার প্রকৃতি। স্বামীকে জব্দ রাখার, স্বামীর মাকে পরাস্ত করার, স্বামীর ভাই বোনের কব্জা করার, নামাজি বা ইসলামিক গোত্র নিয়মের পদ্ধতি। আগে তো শুনতাম বশ করে রাখার জন্য মেজের মাটি গু মুত মিশিয়ে যেকোনো উপায়ে ওই শ্রেণীর ইবাদত ধারীরা খাওয়ায়! কিন্তু এখন তো সে ই মেঝের মাটি নাই?! তাছাড়াও শহরে ফ্লাট বাড়ির হিরিক! তাই বুঝি এখন এই রীতির ব্যবস্থা!! জীবন ছায়ায় মায়ায় কায়ায় গবেষণা আর আমি কয়টা জিনিস নিয়েই করবো? একটার পরে একটা অ্যাটাক করে। আর তাই ছাড়িয়ে উঠতে, কাটিয়ে নিতে, আপছে আপ, গবেষণায় ইনলিস্টেট হয়ে যায়! এ যেন আমার রেডিমেড স্বীকৃতি আল্লাহর দানের ব্যবস্থানায় উপস্থিত খাতের গবেষণালয় আমার! সবকিছুই সুন্দর মিলানো হয়ে যায়। আল্লাহ প্রদত্ত অধ্যাবসায় গবেষণা এবং জ্ঞান অর্জন আমাকে পূর্ণমাত্রায় তৃপ্ত করে! এক জীবনে মহান আল্লাহ আমার এত কিছু উপহার দিলেন!! আর সেসব রাখবো আমি কোথায়? আমি মোটেই দগ্ধ নই! মুগ্ধ! এবং কৃতজ্ঞ মহান আল্লাহর প্রতি! আর আমি সত্যিই ধন্য!! হে মোর রব মালিক, আমার সকল আধিপত্যের আধিপত্য, তোমার দয়ায় আমি আজও আছি। আজও লিখি। চলি ফিরি ঘুড়ি! রাধি বাড়ি খাই! আর আনন্দে ভাসি! কান্না করি হাসি! কি সুন্দর তুমি আমার জীবন পূর্ণ করে দিলে! জ্ঞান বিদ্যায় টুইটম্বার করে দিলে! সুখ সমৃদ্ধিতে ভাসিয়ে নিলে, ঠিক তোমার মত করেই তুমি! হে মহান আল্লাহ। হে মহান শান্তির প্রতীক, সুর সুধা সুখ। যা দিয়েছো আমি ধন্য আমি পূর্ণ। আমি কৃতজ্ঞ আমি মুগ্ধ। আমার মনে হয় যে, আমিও অনন্য এবং তোমারি মতো অদ্বিতীয়। তবে তুমি স্রষ্টা আর আমি তোমার সৃষ্টিকৃত মানুষ কুলের মানুষ। তোমার দয়ায় নোংরা মানুষী আমাকে ছুইতে পারেনা, এজন্যই তো একলা আমি। আমার আমি।
তোমার গুরু রহস্যই তো, তোমার দারুন দানের প্রাপ্তিতেই তো, আমি সৈয়দা রাশিদা বারী, তোমার সৃষ্টির জগতে আলাদা নারী, তোমারই এক্সটা বিশেষ দয়ায়, মহিমায়, অপার ছায়ায় মায়ায় কায়ায় হয়ে আছি, পুরাটাই আমার আমি। যাই হোক ভালো কাজে একাগ্রতা রাখা অন্যায় নয়। এই আলোকে বলা যেতেই পারে, হে মোর আল্লাহ, স্রষ্টা, ঈশ্বর, ভগবান, তোমাকে যে নামেই যে ডাকুক না কেন? আমার কাছে তুমি তো তুমিই। তুমিতো একই জন। ঈদের মাধুর্যে তুমি যেমন থাকো। বড়দিনেও থাকো, পূজার মাধুর্যেও তেমনি আছো। তেমনি রাখো তেমনই ভালোবাসো। বড়দিন, ঈদ আনন্দ, পূজাপারবণ সবই তো তোমার আশীর্বাদের আশীর্বানি, বেলা ভূমি। মানুষের জীবনে তুমি মহিয়ান গড়িয়ান সমগ্র পৃথিবীর প্রভু দয়াময়, প্রভু দেবতা, সাত আসমানের মালিক। মানব সম্প্রদায়ের আত্মবিশ্বাস এর জায়গা থেকে আস্থার আস্থা। একমাত্র অভিভাবক নেতা। আমরা তোমাকে পূজা করেই ডাকি আর নামাজ পইড়েই ডাকি, দিলের মধ্যে রাখি, একমাত্র তুমিই তো তুমি। তুমিই সবার পথ প্রদর্শক। তাই তোমাতেই যত আরজি আবেদন, নিবেদন আমাদের সবার। এই যে শারদীয় মহা উৎসব এর মধ্যেও তোমার অনন্ত ছোয়া শুভেচ্ছা আশীর্বাদ সবাইকে ধন্য করে। মুগ্ধ করে। আমার কাছে পরম মমতায় তুমি সব কিছুতে বিরাজমান। দয়াবান। দুর্গা মায়ের আগমনী বার্তা, ত্যাগের মহিমা ঘিরে, মহা উৎসব মহানন্দ আর বিসর্জনে! তোমার কাছে চাইছি, দল মত জাতি ধর্ম নারী-পুরুষ নির্বিশেষে পৃথিবীর সবার জন্য শান্তি। এবং চাইছি দুর্গা মায়ের কাছে, হে মহামায়া দুর্গাদেবী তুমিও শান্তি প্রতিষ্ঠা করে দিয়ে দাও। তোমার আসা যাওয়া শুভেচ্ছা স্বাগতমে, কঠিন কোমল ত্যাগের মহিমায়, হিংসা বিদ্বেষ মুক্ত নতুন এক বাংলাদেশ গড়ে দিয়ে যাও। আমার সাথে জনগণেরও তোমার কাছে, এই একটাই চাওয়া, একটাই দাবি। রইলো সবার প্রতি মধুময় শারদীয় শুভেচ্ছা।
৩০. ৯. ২০২৫ ইং, রাত ৮ টা, মঙ্গলবার।