মাতা পিতার সেবাযত্নর দায়িত্ব কন্যার উপরে থাকাই সুমার্জিত সৃজনশীল ও মনোনয়নশীল

প্রকাশিতঃ সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৫, ১০:২৬

সৈয়দা রাশিদা বারী: পরোয়া করার কি আছে? সত্যি যা মুখের মধ্যে না রেখে বলার প্রয়োজন আছে। কেউ না কেউ বলতে হবে। নইলে অন্যায় অত্যাচার নিষ্পিরণ গুলো উচ্ছেদ হবে কি করে? যেমন আমার বান্ধবী ঝুমকার মাকে ঝুমকার মায়ের পুত্রবধু, গোসল করাতে… নিয়ে মাথার চুল গুলোও হৃদয়হীন জাহেলের মতন ঘুটে ঘুঁটে … উপড়িয়ে ফেললো!! আ উ ইস বিস করাও নিষেধ! গলা টিপে ধরে ….! মুখের মধ্যে পুরা গামছা ঢুকিয়ে দেয়! সাধু শয়তান চায়না লোক জানুক! চায় লোকের কাছে ভালো থাকা! বেগার শোধ দিচছে স্বামীর, স্বামীর মায়ের দায়িত্ব স্বামী দিয়েছে স্ত্রীর! আর এদিকে স্ত্রী যে কি করছে, কিভাবে বোঝাবো?! যেভাবে যেমন করে সেবা যত্ন নিচ্ছে, তা সে একমাত্র আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানে না! আমি যেন গবেষক মানুষ, বিশেষ করে নারী গবেষক, নারী প্রেমী তাই অভিনয় করে হোক আর যেভাবে হোক, চাক্ষুষ উদঘাটন করেই ছাড়লাম। এখন উপসম আনার উপায় তো নাই তাই লেখছি। এই সমাজের কেউ নাই, নিজের খেয়ে বোনের মোশ তারাবার। সে প্রিয়তম পুত্রের স্ত্রী, স্বামী দেবতার মাকে ওষুধ না খাওয়াইয়ে ফেলে দেয়! ওষুধের মুড়িগুলো প্রমাণসহ রেখে! কি ভয়ানক দৃশ্য! স্বামী অফিস থেকে এসে দেখে খাওয়াইছে! কখনোই গরম টাটকা খাবার দেয় না! ফেলে দিতে হয়, ৩-৪ দিন আগের খাবার, সেটা না ফেলে, বরং ঐরকম ইচ্ছা করে বানিয়ে, সেই খাবার স্বামীর মাকে খাওয়াই! ইত্যাদি! আর ওদিকে প্রতিদিন স্বামী দিয়ে যায়, মায়ের খাওয়ানোর বাজেট, প্রিয়তমা স্ত্রী, নিয়ে সেই বাজেট জমিয়ে নিজের মায়ের জন্য পাঠায়! অথবা সে ইমেজ করে ফুরায়। হাড়ির চাউল একটা টিপলেই বোঝা যায়, সব ভাতের খবর নেওয়া যায়, ভাত ফুটলে সব ফুটে যায়। সব ভাত ফুটেছে কিনা একটা একটা করে টিপা মোটেই লাগে না। সমাজের সব বিষয়ও সেরকম। যখন যা চলে, যুগের বাতাস অনুপাতে, আর এলাকা ভিত্ত, সব জায়গায় একই চলে। এটাও হরহামেশায়, প্রায় ফ্যামিলিতেই হচ্ছে কিন্তু এর কোন প্রচার প্রসার নেই! এইভাবে দেখভাল করলে, বৃদ্ধা অথবা বৃদ্ধর, জীবনের আয়ু বাড়ে??? না কমে??? আমার বান্ধবীর মায়ের কথা আর বলতে চাই না! দম কেন যেন আটকিয়ে আসছে! তার জন্য না, দম আটকিয়ে আসছে সকল নারীর জন্য। প্রায় নারীরই তো এই পথের পথিক হতে হবে!? তাই এইটা বন্ধ করা প্রয়োজন। খুব প্রয়োজন। যুগে যুগে পর্যায়ক্রমে আপডেট জীবনে এটাই হবে এবং আরো ভয়ংকর পর্যায়ে হবে! এর কি নিরাময়ের কোন পথ নাই? অবশ্যই আছে। বলতে চাই না তবু বলতে হচ্ছে! হ্যাঁ এটা পুরুষ জাতের দোষেই তো হচ্ছে। আমি এই দোষ নারী জাতের দেব না। স্থায়ী সুস্থ সুন্দর সমাধান আনতে পুরুষ জাতেরই এগিয়ে আসতে হবে। সেহেতু পুরুষ জাত সঠিক দায়িত্ব পালন করেনা বলেই সমাজ সংসারে এই ধরনের যত অপকর্ম যত অশান্তি। সঠিক দায়িত্ব পালন করে না অথচ মা-বাবার জিনিস দুই ভাগ নিয়ে বসে থাকে! জুতাটা মারা প্রয়োজন কোন নারীর নয়, স্ত্রীর নয়, পুত্রবধূর নয়, পুরুষ সম্প্রদায়েরই। কন্যারা মাতা পিতার সেবার অংশ না নিয়েও, তার মাতা পিতার প্রতি যে দায়িত্ব পালন করে, পুত্ররা মাতা পিতার দেখ ভালের দায়িত্ব পালনের জন্য ডাবল অংশ নিয়েও কন্যার অতটা দায়িত্ব পালন করেনা। পুত্রের জায়গা থেকে পুত্র নেমক হারামি করে। তাহলে দুই ভাগ নেবে কেন? যে পরিমাণে অত্যাচারিত অপদস্থ পুত্র কর্তৃক মাতা পিতা একটা সময়ে হন! বিশেষ করে পুত্রর বিবাহের পর। যৌবন কেটে তখন তো আমার পড়ন্ত বেলাও মাতা পিতার আসে। এই অসহায়ত্তর সুযোগ পুত্রবধূ নির্মমভাবে নেই। পুত্রের কারণেই নাই। পুরুষের কারণেই নেই। তাই ওই দায়িত্ব কন্যার উপরে ফেলে কন্যাকে দুই ভাগ দিলে, মাতা পিতা জীবন ভরে সসম্মানিত সোনাই সোহাগা হয়ে জীবন কাটাতে নিশ্চয়ই পারে। এই যে একটা অগ্রহণযোগ্য উল্টো কাজ, এটা আসলেই গলায় গাড়! আমি কিন্তু আমার নিজের জন্য চাচ্ছি না। আমি বলছি বলেই সুযোগ সুবিধা গুলো আমার চাচ্ছি, তা তো নয়। একটা জিনিস চিন্তা করে পাইনা! সমাজের পুরুষেরা তাদের নিজেদের মা বোন স্ত্রী কন্যার ভালো থাকা চায় না কেন???

এই যে উপযুক্ত বয়সে নারীর ধর্ষিত হওয়া, বৃদ্ধ বয়সে নারীর মানে মায়ের ভেসে বেড়ানো, কন্যার শ্বশুরবাড়িতে নির্যাতিত হয়ে মৃত্যুবরণ করা, ইত্যাদি যত রকম অনাকারবারী, এ তো পুরুষদের জন্যই পুরুষ কর্তৃক নারীরা হয়। মায়ের নেতৃত্ব কর্তৃত্ব কেড়ে নিয়ে, মায়ের নিজ হাতে সাজানো গোছানো ঘর তছনছ করে, মা বেঁচে থাকতে স্ত্রীকে দেয়! আবার কন্যাকে সম অধিকার না দিয়ে, যৌতুক দেয়! কন্যা জামাইকে যৌতুক দেয় কেন? অমানুষ জামাই যৌতুক খেয়ে, কন্যাকে আবার মারধর করে, বাপের বাড়ি থেকে টাকা পয়সা এনে দেয়ার জন্য! আরো যৌতুক নেয়ার জন্য! অথচ ওই জামাই টার ধরে মেয়ে কতদিন থাকতে পারবে তার কিন্তু কোন গ্যারান্টি নাই! মন চাইলেই তো সে, ভালো না লাগলেই তো সে, যখন তখন তাড়িয়ে দেবার অধিকার রাখে! তিন তালাক দিয়ে দিতে পারে! এমনটা হলে ওই বাড়িতে মেয়ের স্থান অস্থান কুস্থান হয়ে পড়ে! প্রতিবেশী বা পর মানুষের বাড়ি তবু যাওয়া যায়। বিপদ বলা যায়, শেয়ার করা যায়। কথা বলা যায় বসা যায় শোয়া যায় খাওয়া যায়। কিন্তু কন্যার নিজের হাতে সাজানো গোছানো ওই স্বামীর বাড়ি তো, তার জন্য হারাম হয়ে যায়! কতদিন জীবন যাপন করা স্বামী, সন্তানের বাবাও, হলাম হয়ে যায়! তখন মেয়ের অবস্থা কি হয়?? কন্যার নিজের হাতে গড়া সাজানো বাড়ি থেকে কন্যাকে নামিয়ে দেবে! এই অধিকার যে জামাই এর থাকে, তাকে যৌতুক বা কোন প্রণদনা দিতে হবে কেন? কিছুই না দিয়ে বরং পুত্র কন্যার সমঅধিকার রাখতে হবে। কন্যার ভবিষ্যৎ ভেবে। যেন তার বিপদের আস্থা থাকে, ভাইয়ের সমান। সমান সমান থাকলে ভাবির পাড়ানি খেতে হয়না। ভাবির কুদৃষ্টি গোচর হয় না। থাকে ভাইয়ের সমান অধিকার বলেই, উড়ে এসে জুড়ে বসা ভাবির কাছেও, কন্যার থাকে সমান। অসম্মানিত জীবনযাপন করা খুবই মুশকিল জনক। নিকে বসা লাগে। বাইরে বাড়ি করে একা থাকতে গেলেও পুরুষ সম্প্রদায় কর্তৃক ধর্ষিত হতে হয়। কলঙ্কিত হতে হয়, সমালোচনার মুখে পড়তে হয় ইত্যাদি। এমনকি তাতে মৃত্যুও ঘনিয়ে আসে! কেন তাই সোজা পথ থাকতে,, জীবনে নারীকে একটি কন্যাকে এত ঘোরানো প্যাচানো সিঁড়ি দিয়ে উঠতে নামতে হবে??? আজ মরে গেলে কাল দুই দিন! শুধু বেঁচে থাকা পর্যন্তই তো একটু নিরাপদে থাকা প্রয়োজন? ধর্ষিত না হয়ে ভালোভাবে থাকা দরকার। আবারো বিয়ে বসলে, সেই পুরুষেরও তো
গ্যারান্টি নাই। তার থেকে সে পারলে, চরিত্রহীনা, দৈহিক জ্বালাধারী, সিক্সপ্রেমি, পুরুষ আসক্তগামী, পুরুষভুকি না হলে, আধ্যাত্মিক মনোবাসনায় আল্লাহকে সময় দিতে পারে। তার তো পুরুষ ধরে ধরে বিয়ে মিয়েতে বারবার না বসে, একা থাকাই ভালো। একা থাকলেই তো মহান আল্লাহর বেশি ডাকতে পারে। সামাজিক কাজ রাষ্ট্রীয় কাজ বেশি করতে পারে। সুস্থ সুন্দর অধ্যাবসায় মেধা মননে পরিপূর্ণ হতে পারে। দুই একটা গরীব দুঃখী অসহায় নারীকে সঙ্গে নিয়ে, জীবন কাটাতে পারে। এতে তো অনেক নারীও নিরাপত্তার সাথে উপকৃত হয়। শেষ জীবনে জীবন পার করে, ভালো মৃত্যুবরণও হয়। প্রশংসিত রয়। শান্তিতে রয়। ধর্ষণের শিকার কখনোই হতে হয় না। ধর্ষণের শিকার না হলে, আর জীবন কাটাতে অন্যায় করে না বেড়ালে, মাতা পিতার জন্য পুণ্যের অর্জন পুরা ভাগ হয়। সুস্থ সুন্দর কাজ সহজে করতে পারে। নিশ্চয়ই এর একটি ভালো বেনিফিট, ভালো প্রাপ্তি কবরে থেকেই মাতা পিতা পাইবেন। তাহলে পুরুষ অর্থাৎ বাবারা কন্যার যৌতুক না দিয়ে, নিজের সবকিছুতে পুত্রের মতন সম্মান দিলে সমস্যা কি? এতে তো সবার পরিবেশ এবং পজিশন ভালোও থাকে। কন্যাকে দিলে, ওদিকে পুত্রের স্ত্রী তার বাবার বাড়িতে ভাইয়ের সমান পাবে। সেটাও তো তার পুত্রের হবে, স্ত্রীর মাধ্যমে পাবে। ওই দিক থেকে দিবে বোনকে আর ওই দিক থেকে পাবে স্ত্রীর মাধ্যমে। সমানই তো পাওয়া হয়ে গেল। আরো লাভ প্রাপ্তি থাকছে যে, কোন কন্যাকে আর নির্যাতনের মুখে পড়তে হলো না। বঞ্চিত লাঞ্ছিত হতে হলো না। এবং এতে বৃদ্ধ বয়সে কোন মা জননীর পুত্রবধূর হাতে, স্ত্রীর হাতে, নির্যাতিতও হতে হবে না। মা নির্যাতিত না হলে, মায়ের পেটের পুত্রের ভালোই তো লাগবে! স্ত্রীও স্বামীকে খোঁটা দিতে পারবে না, বলবেনা, তোমার মা এই সেই, মন্দ খারাপ ইত্যাদি! তো পুরুষরা তাহলে কেন পুত্র কন্যার সম অধিকার দেয় না!!!??? দিলে তো পুরুষদেরও ভালো। শান্তি পাবে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত। জ্বলতে হবে না বৃদ্ধ মা বাবাকে নিয়ে। মায়ের পেটের বোনকে নিয়ে। নিজের দরদের কন্যাকে নিয়ে। ইসলাম অর্থ শান্তি। সেই শান্তিও তো বেড়ে যাবে। তাই এইভাবে পুত্র কন্যার মাঝে সম অধিকার প্রতিষ্ঠা করেও তো, শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যায়। আল্লাহ প্রেমে মশগুল থেকে, আল্লাহর ইবাদত বন্দেগীতে পরিপূর্ণ থেকে, মানুষের জন্য মানুষের মনুষ্যত্বের বিকাশ সুমার্জিত পর্যায়ে পৌঁছে দিলে, ক্ষতি তো আর নেই, পুণ্য ছাড়া । ভালো কাজে ক্ষতি হয় না কখনোই। মন্দ কাজের ক্ষতি। মন্দ কাজকে পরিহার করাও পুণ্যার্থী কল্যাণকর। সৃজনশীল সমাজ গড়তে সমাজ সংসারে যথাযথ পূর্ণময়, পুণ্যের। মানবিক চিন্তা চেতনার জায়গা থেকে সচেতন প্রাণ বুদ্ধিমত্তা জ্ঞানী গুণীরা বহু গবেষণা করে দেখেছেন‌, নারীর উপরের অন্যায় বৈষম্য দুর্নীতি দমন পদ্ধতি, এই একটাই শ্রেষ্ঠ। বেস্ট। বিবেচনার জায়গা থেকে, বিবেকও এটাই রায় দেয়। যা সম্পূর্ণরূপে পুণ্যময় সুমার্জিত। এবং এভাবে শান্তি বজায় রাখলে ইবাদত বন্দিকেতেও নারী একনিষ্ঠ দৃঢ় থাকতে পারবে। ব্ল্যাকমেল মুক্ত, প্রতারিত মুক্ত, অনিরাপত্তার ঝুঁকিমুক্ত, এমন শ্রেষ্ঠ ভালো সময়, নারীকে ভালো কাজে বিনিয়োগ করবে। আরো সামনে দেশ রাষ্ট্র সমাজের ভালো কাজে, উন্নয়ন উন্নয়নে এগিয়ে দেবে। যদি মাতা পিতার ঘরে পুত্র কন্যার সমঅধিকার থাকে। স্বামীর কাছে কোন অধিকার থাকার দরকার নাই। দুই আনাও নারীরা চায়না। স্বামী ভালো ভালোবাসার জিনিস। সম্মানের পাত্র। ভালোলাগার শর্তে যতদিন ভালো লাগবে, ভালোবেসে যতদিন থাকে থাকবে। গলাচিপে স্ত্রীকে হত্যা না করে, ভালো যখন লাগবে না, বলে কইয়ে সে ভালোমতো চলে যাবে। জাহেলের মতন কাফেরের মতন যেতে হবে না। বিশ্বাসঘাতক হতে হবে না। নাফরমানি করতে হবে না। কারণ স্ত্রীর তো স্থান আছে তাই চলে যাওয়া, পুরুষটির মানে স্বামীর কোন পিছু টান থাকবে না। কেচ কাটটা জেল জরিমানা করবে, জেলে ভরবে, স্ত্রীকে স্বামীর থেকে কিছু আদায় করতে হবে না। স্বামীর এমন ভয় থাকবে না। সন্তানের ভরণপোষণ কেস করে প্রাক্তন স্বামীর থেকে নারীকে সন্তানের মাকে নিতে হবে না। এটাও তো পুরুষ নারী সবার জন্যই মঙ্গল জনক। পুরুষ তার স্ত্রীর ভালো না লাগলে, সন্তানের নিয়ে মহা বিপদে পড়ে। সৎ মাও বিপদে পড়ে। অন্য নারীর পেটের সন্তানকে গলা টিপে মারে! আল্লাহর কাছে পাপী হয় প্রাণনাশ করার ফলে! এ ধরনের সমস্যা গুলো থেকেও মুক্তি পাবে নারী এবং পুরুষ! শিশু অবলা সন্তান তো বটেই। কেননা স্বামীর থাকা প্রাক্তন স্ত্রির সন্তান কোন নারীর ভালো লাগেনা। এইটা পরবর্তী স্ত্রীকে লালন পালন করতে দিয়েও পুরুষ করে অন্যায়। আবার পুরুষ তার নিজের মা-বাবার যত্ন করতে দিয়েও, স্ত্রীর উপর করে অন্যায়! যা ভালো না লাগে, তা জোর জুলুম করে করানো, এটা অন্যায়। আর ওটা আসলে ঠিক মত হয়ো না। উল্টো কাজ হয়। যার যার মা-বাবাকে সেই সেই সেবা যত্ন করবে। স্ত্রী করবে স্ত্রীর মা-বাবার সেবা যত্ন। এখানে ইন্টারেস্ট আছে সুখ পাই। তাই স্বামী করবে স্বামীর মা-বাবার সেরা যত্ন। বিবেক বিবেচনার জায়গা থেকে এবং আল্লাহরও নির্দেশ এটাই এবং এটাই রাইট। জোর জুলুম করে করানোটা বললাম তো উল্টো হয়, ঠিকমতো হয়না। ফলাফল উল্টো থাকে এবং সেটা অন্যায়। ছেলেরা যেহেতু সেবা যত্ন করতে পারে না। নিজের বাবা-মায়ের সেবা যত্ন করাতে যাই স্ত্রী দিয়ে। তাই বাবা-মায়ের দেখভাল ও সেরা যত্নের দায়িত্ব কন্যার থাকবে। স্ত্রীর বাবা মায়ের সেবা যত্ন স্ত্রী করবে। দেখুন ঘুরিয়ে ফিরিয়ে একই কিন্তু হলো। আর এই নিয়মেই আছে শান্তির আসল প্রতীক। উল্টো কাজ করে অশান্তি বাড়ানো এই আজকের আপডেট যুগে প্রযোজ্য নয়। উপযোগী উপযুক্ত নয়। সবাই ভালো থাকা যাবে, মননশীল লাগবে, মার্জিত লাগবে, করা সেটাই জরুরী ভিত্তিক প্রয়োজন। একজন পুরুষের পক্ষে, মানবিক দায়িত্বের জায়গা থেকে, অসহায় মা-বাবাকে গোসল করিয়ে কাপড় পাল্টিয়ে দেওয়া এবং মুখে তুলে খাওয়ানো, রান্না করে খাওয়ানো ইত্যাদি, অবশ্যই পুরুষের করাটা সৃজনশীল লাগেনা। মননশীল হয় না। আর স্ত্রীর কখনো স্বামীর মা-বাবাকে এটা করানোও, শোভা পায় না। স্ত্রীর উপরে জুলুম করা হয়। কন্যার জন্যই এটা প্রযোজ্য। কন্যা বিরক্তি তো হবে না। কন্যার খারাপ লাগবে না। কন্যারই থাকবে দরদ, প্রেম ভালবাসা, মাতা পিতার সেবা যত্ন করার পিছনে অনেক অনেক দরদ। জিনিসটা আসলে উল্টো ভাবে সেটেল রয়েছে। এতে নারী পুরুষ কেউ শান্তিতে নেই। অশান্তিই অমার্জিত। মননশীল সৃজনশীল নয়। বরং এটাই বৈষম্য এবং অন্যায়। আল্লাহ আমাদের অন্যায়কে পরিহার করতে, অন্যায় থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করুন। আমিন।

২৪. ৯. ২০২৫ ইং, দুপুর ২টা, বুধবার।