ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নের দাবিতে নিউ নেশনে সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিতঃ সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৫, ১২:৫২

স্টাফ রিপোর্টার: ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) অন্যতম ইউনিট নিউ নেশনে ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নের দাবিতে ১৪ সেপ্টেম্বর রবিবার সন্ধ্যায় নিউ নেশন কার্যালয়ে একটি জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে নিউ নেশন কর্তৃপক্ষের প্রতি ৮ম ওয়েজবোর্ড দ্রুত বাস্তবায়নের প্রতি জোর দাবি জানানো হয়। নিউ নেশন ইউনিট চিফ মো মোশারেফ হোসেন সিকদারের সভাপতিত্বে ও ডেপুটি ইউনিট চিফ মো শিমুল হাসানের সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন ডিইউজের কোষাধক্ষ্য খন্দকার আলমগীর হোসাইন, নির্বাহী কমিটির সদস্য গাযী আনোয়ার, আবদুল্লাহ মজুমদার ও নিউ নেশন ইউনিটের সদস্যবৃন্দ।
নিউ নেশন পত্রিকার সিটি এডিটর আবুল কালাম বলেন, এখন আর সেই বাংলাদেশ নেই যেখানে সাংবাদিকদের অধিকার নিয়ে টালবাহানা করার কোনো সুযোগ রয়েছে। ওয়েজবোর্ড (মজুরি বোর্ড) বাস্তবায়ন ছাড়া কোনো পত্রিকা সরকারের কোনো সুযোগ-সুবিধা পাবার অধিকার রাখে না। এই পত্রিকায় কর্মরত সাংবাদিক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ওয়েজবোর্ড সুবিধা না দিলে অবশ্যই নিউ নেশনের রেট কার্ড বাতিল হবে।

সাংবাদিকদের ন্যায্য দাবির মানার জন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, এখন নিউ নেশনের ঘুরে দাঁড়াবার সময় কিন্তু তারা বিষয়টি বুঝার চেষ্টা করছে না। জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তীতে নিউ নেশন সরকারের সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার পরেও সাংবাদিকদের অধিকার নিশ্চিতে গড়িমসি করছে যা আগামী দিনে এই পত্রিকার জন্য অশনি সংকেত স্বরুপ।
খন্দকার আলমগীর হোসাইন বলেন, সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ের যখনই কোনো আন্দোলন গড়ে উঠে, তখনই মালিকদের পক্ষে কিছু দালাল শ্রেণী তৈরি হয়। এই দালালদেরকে মালিকরা সবসময় এমনভাবে চিত্রায়িত করেন যে, তিনি বা তারা ছাড়া কেউ কাজ করে না। দালালই সব কাজ করেন এমন প্রচারণা তারা চালায়। এরকম সব হাউজেই কম বেশি রয়েছে। এই দালালদের পরাস্ত করেই দাবি আদায় বাস্তবায়ন করতে হবে।
সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষা করাই ইউনিয়নের মৌলিক কাজ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আপনাদের পত্রিকায় (নিউ নেশন) ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নে যা করণীয় সে ক্ষেত্রে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) তা করতে শতভাগ প্রস্তুত। নিউ নেশনে ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত ডিইউজে তার শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে আপনাদের চলমান আন্দোলনের পাশে থাকবে।
তিনি বলেন, ওয়েজবোর্ড দাবি আদায় আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত বা নস্যাৎ করার জন্য এ আন্দোলনের অন্যতম মুখপাত্র নিউ নেশন ইউনিট চিফ মো মোশারেফ হোসেন সিকদারকে (নোমান মোশারেফ) ডিএফপি (চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর ) থেকে ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন করা হয়েছে এই মর্মে একটি অনাপত্তিপত্র আনার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। অন্যথায় চাকরিচ্যুতি করা হবে এবং কোনো সুবিধাদি দেয় হবে না এমন নোটিশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ যা অত্যন্ত নিন্দনীয়।
ছলচাতুরীর আশ্রয় নিয়ে ওয়েজবোর্ড দাবীকে বানচাল করা যাবে না এমন সতর্কবার্তা দিয়ে তিনি বলেন, যারা এসব ঘৃণ্য ও আত্মঘাতী চিন্তা করছেন আমি বলবো তারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন সম্পর্কে তাদের ধারণার ঘাটতি রয়েছে। তাই আবারো কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ করছি সাংবাদিকদের যোক্তিক দাবি মেনে নিন।
গাযী আনোয়ার বলেন, ব্যক্তিগত লাভকে প্রাধান্য না দিয়ে সামগ্রিক স্বার্থ রক্ষার জন্য আমাদেরকে মজুরিবোর্ড বাস্তবায়নে লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করা উচিত। গত ফ্যাসিস্ট শাসনামলে নিউ নেশন বৈষম্যের শিকার হয়েছে। জুলাই বিপ্লব পরবর্তীতে ডিইউজের সহযোগিতায় নিউ নেশনের রেট কার্ডের যথেষ্ট উন্নতি ( ১৩ থেকে ৩) ও বিজ্ঞাপনের পরিমান অনেক বেড়েছে। কিন্তু তা সত্বেও কর্তৃপক্ষ ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে গড়িমসি করছে। এখানে কর্মরত সকলের ওয়োজবোর্ড বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন নিয়ে দূরভিসন্ধিমূলক কার্যক্রম নিউ নেশনে কর্মরত সাংবাদিক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা মেনে নিবে না এমন হুশিয়ারি উচ্চারণ করে মো মোশারেফ হোসেন সিকদার বলেন, ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন সাপেক্ষে নিউ নেশনের ভবিষ্যত নির্ধারিত হবে। কর্তপক্ষের প্রতি বিনীত অনুরোধ করছি সকলের (মালিক ও কর্মরতদের) স্বার্থে এই দাবি মেনে নিন।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন ফিচার এডিটর শেখ আরিফ বুলবন, স্পোর্টস ইন-চার্জ কামাল হোসেন বাবলু, কম্পিউটার ইনচার্জ শাহ আলম, সিনিয়র স্পোর্টস রিপোরর্টার মো সাব্বির হাসান, চীফ রিপোর্টার রেজা মাহমুদ, সিনিয়র রিপোর্টার আল মামুন হারুন উর রশিদ, মো আবু জাকির, স্টাফ রিপোর্টার মুহিদ হাসান, সিনিয়র সাব-এডিটর মুহাম্মদ খালেদ আসগর, সাব-এডিটর মো তানভীর আহম্মেদ, তাসনুভা আক্তার রিপা, খন্দকার ওবায়েদ, ইশরাত জাহান মারিয়া, প্রুফ রিডার মো. আমিনুল হাসিব চৌধুরী, চিফ ফটো জার্নালিস্ট মঈন উদ্দিন আহমেদ, ফটো জার্নালিস্ট সালাহউদ্দিন আহমেদ শামীম, কম্পিউটার অপারেটর মো আব্দুর রউফ, মো আতাউর রহমান, হারাধন আচার্য্য রিমন, মো রমজান আলী ও শ্যামল চন্দ্র বিশ্বাস প্রমুখ।