সিগারেট শিল্প প্রসারে বিডা’র পদক্ষেপ: জনস্বাস্থ্যের পরিপন্থী ও অসাংবিধানিক

প্রকাশিতঃ সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৫, ১৩:৪৮

মাখদুম সামি কল্লোল: বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সিগারেট শিল্প প্রসারে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষে দায়ী করে।
বুধবার ১০ সেপ্টেম্বর দুপুরে লিখিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে এতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) বিদেশি সিগারেট কোম্পানির কারখানা স্থাপনে উদ্যোগ নিচ্ছে, যা জনস্বাস্থ্য ও খাদ্য নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকি।
২০১৮ সালে তামাক রপ্তানি শুল্ক ২৫% থেকে কমিয়ে ১০% করা হয় এবং ২০১৯ সালে পুরোপুরি মওকুফ দেওয়া হয়। এর ফলে তামাক চাষের জমি ২০১৮ সালের ৯২ হাজার হেক্টর থেকে বেড়ে বর্তমানে ১ লাখ ৪২ হাজার হেক্টরে পৌঁছেছে। খাদ্য উৎপাদনের জমি তামাকে ব্যবহৃত হওয়ায় খাদ্য সংকটের ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, দেশ মাছ ও কৃষিজাত পণ্যের রপ্তানিতে বিশাল সম্ভাবনা অর্জন করেছে। FAO’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্বাদু পানির মাছ আহরণে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয়। কাঁঠাল উৎপাদনেও বিশ্বে দ্বিতীয় হলেও রপ্তানি খাতে পিছিয়ে রয়েছে। এই খাতগুলোকে উৎসাহিত করা হলে দেশ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে আরও সমৃদ্ধ হতে পারে।
সংবিধানের ১৮(ক) অনুচ্ছেদ এবং সুপ্রিম কোর্টের রায়ে দেশে নতুন তামাক কোম্পানি স্থাপন নিষিদ্ধ এবং বিদ্যমান কোম্পানিকে বিকল্প খাতে স্থানান্তরের নির্দেশনা রয়েছে। ইতোমধ্যেই অনেক দেশীয় কোম্পানি তামাক ব্যবসা থেকে সরে এসে কৃষি ও শিল্পে বিনিয়োগ করছে।
নতুন সিগারেট কোম্পানি অনুমোদন জনস্বাস্থ্য, খাদ্য নিরাপত্তা ও সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার পরিপন্থী। তাই বিডা’র এ উদ্যোগ অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।