এসএম নাহিদ :রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকায় বর্তমানে চরম উদ্বেগজনক এক প্রবণতা দেখা দিয়েছে—সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে হয়রানি চালাচ্ছে স্থানীয় এক শ্রেণির স্বার্থান্বেষী ব্যক্তি। মূলত চাঁদাবাজি, অবৈধ দখল ও অপরাধচক্রের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানী রিপোর্ট প্রকাশ হওয়ার পরই এই চক্রান্ত জোরদার হয়।স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা, যারা বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত, তাদের অপকর্ম ঢাকতে এবং গণমাধ্যমের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন থেকে বাঁচতে এই কৌশল অবলম্বন করছেন।
গণমাধ্যমের মুখোমুখি হতে বাধ্য হওয়া এই অপকর্মকারীরা সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যমূলক অভিযোগ তুলে নানাভাবে সামাজিক ও আইনগতভাবে চাপে ফেলতে চাইছে। বিশেষ করে যেসব সাংবাদিক নিয়মিত মাঠপর্যায়ে ঘুরে বেড়ান, দুর্নীতির তথ্য সংগ্রহ করেন, তারাই এই হয়রানির প্রধান লক্ষ্যবস্তু।অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় কিছু কথিত নেতা এবং তাদের আশীর্বাদপুষ্ট দালালচক্রই এসব ষড়যন্ত্রের পেছনে রয়েছে। এখনই যদি প্রশাসন এই ধরনের হীন ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়, তবে স্বাধীন সাংবাদিকতা প্রশ্নবিদ্ধ হবে, এবং সমাজে অপরাধীদের দাপট আরও বাড়বে।
সাংবাদিকরা যখন স্থানীয় চাঁদাবাজি, অবৈধ দখল ও অন্যান্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন প্রকাশ করেন, তখনই তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করা হচ্ছে। এই অভিযোগগুলো উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে বাধা সৃষ্টি করছে।আর এইসবই এখন স্থানীয় প্রভাবশালীদের নতুন ষড়যন্ত্র।
সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দায়েরের ঘটনায় প্রশাসনের নিরপেক্ষ ও কার্যকর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি।সাংবাদিক সমাজও এই হয়রানির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলছে। ইতিমধ্যেই তারা প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন, মিথ্যা অভিযোগ দায়েরকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক।
খিলক্ষেত এলাকায় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে হয়রানি একটি গুরুতর সমস্যা। এই প্রবণতা বন্ধ করতে প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ এবং সাংবাদিক সমাজের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ প্রয়োজন।পাশাপাশি সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে সহায়তা করা সমাজের সবার দায়িত্ব।