এস এম হুমায়ুন কবির, কক্সবাজার থেকে :কক্সবাজারের উখিয়ায় একদিনে দুই দফা পৃথক পৃথক বিশেষ অভিযানে ৯০০০০( নব্বই হাজার) হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর উখিয়া ব্যাটালিয়ন, ৬৪ বিজিবি। ৪ সেপ্টেম্বর বিকাল ৫.৩০ ( সাড়ে পাঁচ) ঘটিকায় বিজিবি ৬৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন, পিএসসি নির্দেশে ৪ সেপ্টেম্বর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উখিয়া ব্যাটালিয়ন (৬৪ বিজিবি) এর অধীনস্থ পালংখালী বিওপি’র বিশেষ টহলদল কর্তৃক সীমান্ত পিলার বিডি ১৮ হতে আনুমানিক ৩.৫ কিঃমিঃ উত্তর পূর্ব দিকে এবং বিওপি হতে আনুমানিক ০২ কিঃ মিঃ পূর্ব দিকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কাটাখাল বেড়িবাধ নামক স্থানে অবস্থান করে। এ সময় মায়ানমার হতে দুইজন সন্দেহভাজন ব্যক্তি নাফ নদী সাঁতরে বাংলাদেশে প্রবেশ করলে বিজিবি সদস্যরা তাদের দিকে এগিয়ে যায়। এসময় চোরাকারবারীরা বিজিবি’র উপস্থিতি টের পেয়ে দ্রুত পালিয়ে যাওয়া প্রাক্কালে চোরাকারবারী পলিথিন সাদৃশ্য একটি প্যাকেট কেওড়া বাগানের মাঝে ছুড়ে মারে। পরে ঘটনাস্থল তল্লাশি করে বায়ুরোধী ০৩ কাট সর্বমোট ৩০,০০০ (ত্রিশ হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়া যায়। তবে দীর্ঘ তল্লাশি সত্ত্বেও অন্য কোনো অবৈধ সামগ্রী পাওয়া যায়নি।একই ভাবে ৪ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারের উখিয়ায় বিজিবির পৃথক মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান চালিয়ে ৬০ হাজার পিস ইয়াবাসহ ২ জন মাদক কারবারীকে গ্রেফতার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ৬৪ বিজিবি।
গ্রেফতারকৃত আসামিরা হল, টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের বাসিন্দার মৃত আব্দুল নবীর ছেলে মোঃ ইয়াকুব আলী (২৮), সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপ দক্ষিণ পাড়া এলাকার বাসিন্দার কবীর আহম্মদের ছেলে আব্দুল করিম (২৪)।
রাত ১১ টা ১৫ মিনিটের সময় উখিয়া ৬৪ ব্যাটালিয়ন বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন, পিএসসি বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, ৪ সেপ্টেম্বর বিকাল ৫টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উখিয়া ব্যাটালিয়ন (৬৪ বিজিবি) এর আওতাধীন পালংখালী বিওপি’র বিশেষ টহলদল কর্তৃক সীমান্ত পিলার বিডি ১৮ হতে আনুমানিক ৩.৫ কিলোমিটার উত্তর পূর্ব দিকে এবং বিওপি হতে আনুমানিক ২ কিলোমিটার পূর্ব দিকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কাটাখাল বেড়িবাধ নামক স্থানে অবস্থান করে।
আনুমানিক ৫টা ৩০ মিনিটের সময় মায়ানমার হতে দুইজন সন্দেহভাজন ব্যক্তি নাফ নদী সাঁতরে বাংলাদেশে প্রবেশ করলে বিজিবি সদস্যরা তাদের দিকে এগিয়ে যায়। এসময় চোরাকারবারীরা বিজিবি’র উপস্থিতি টের পেয়ে দ্রুত পালিয়ে যাওয়া প্রাক্কালে চোরাকারবারী পলিথিন সাদৃশ্য একটি প্যাকেট কেওড়া বাগানের মাঝে ছুড়ে মারে। পরে ঘটনাস্থল তল্লাশি করে বায়ুরোধী ৩ কাট সর্বমোট ৩০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়া যায়। তবে দীর্ঘ তল্লাশি সত্ত্বেও অন্য কোনো অবৈধ সামগ্রী পাওয়া যায়নি।
এছাড়া, একই দিনে সন্ধ্যায় ৭ টা ৩০ মিনিটের সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উখিয়া ব্যাটালিয়ন ৬৪ বিজিবির আওতাধীন হোয়াইক্যং বিওপি’র বিশেষ টহলদল কর্তৃক সীমান্ত বিআরএম ১৮ হতে আনুমানিক ১.৭ কিলোমিটার উত্তর পূর্ব দিকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিওপি হতে আনুমানিক ১.৭ কিলোমিটার উত্তর পূর্ব দিকে শুকুরের কাটি ক্যারেঙ্গাঘোনা নামক স্থানে অবস্থান করে। আনুমানিক রাত ৮টায় ১০ মিনিটে মায়ানমার হতে সন্দেহজনক ২ জন ব্যক্তি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আসতে দেখে চোরাকারবারীরা বিজিবি’র উপস্থিতি টের পেয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টাকালে টহলদল কর্তৃক মোঃ ইয়াকুব আলী (২৮), পিতাঃ মৃতঃ আব্দুল নবী, মাতাঃ মৃতঃ মরিয়ম খাতুন, গ্রাম ও ডাকঃ হোয়াইক্যং, থানাঃ টেকনাফ এবং ২। আব্দুল করিম (২৪), পিতাঃ কবীর আহম্মেদ, মাতাঃ মনোয়ারা বেগম, গ্রামঃ শাহাপরীর দ্বীপ দক্ষিণ পাড়া, ডাকঃ সাবরাং, থানাঃ টেকনাফ আটক করে। পরবর্তীতে টহলদল তাদের সাথে থাকা পলিথিনে মোড়ানো ৩ কাট সর্বমোট ৩০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উক্ত এলাকাটি আরো বিশদভাবে তল্লাশী কার্যক্রম চালানো হলেও আর কোন মালামাল পাওয়া যায়নি।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল জসীম উদ্দিন আরও জানান, পলাতক মাদককারবারীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। উদ্ধার করা ইয়াবা ট্যাবলেট ও গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে উখিয়া ও টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এদিকে, বিজিবি শুধু সীমান্ত পাহারায় নয়, চোরাচালান ও মাদক প্রতিরোধেও দৃঢ় অবস্থানে রয়েছে। ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।”
উল্লেখ্য, কক্সবাজার রিজিয়নের রামু সেক্টরের অধীনে দায়িত্ব পালনকারী উখিয়া ব্যাটালিয়ন (৬৪ বিজিবি) দীর্ঘদিন ধরেই সীমান্ত নিরাপত্তা বজায় রাখা, মাদকসহ বিভিন্ন ধরনের অবৈধ কার্যক্রম দমনে সাফল্য অর্জন করে আসছে। মাদকবিরোধী এ সকল অভিযানে উখিয়া ও টেকনাফবাসি এর ভিতর স্বস্তি ও আস্থা ফিরিয়ে দিতে সদা প্রস্তুত উখিয়া ব্যাটালিয়ন (৬৪ বিজিবি)।