হোমিও চিকিৎসকদের নামের আগে ডাক্তার (ডা.) পদবী ব্যবহারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি

প্রকাশিতঃ সেপ্টেম্বর ২, ২০২৫, ১৪:৩৯

স্টাফ রিপোর্টার: হোমিওপ্যাথিক স্বার্থ সংরক্ষণ জাতীয় কমিটি, ১০ আগস্ট তারিখে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ থেকে জারিকৃত এক নির্দেশনায় এমবিবিএস ও বিডিএস ডিগ্রিধারী ছাড়া হোমিওপ্যাথি, আয়ুর্বেদিক ও ইউনানী চিকিৎসকদের নামের আগে ‘ডা.’ পদবি ব্যবহার না করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এই নির্দেশনা জাতীয় সংসদে পাস হওয়া বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা শিক্ষা আইন-২০২৩ এর পরিপন্থি এবং বিভ্রান্তিকর বলে মন্তব্য করে এই নির্দেশনা প্রত্যাহার দাবি করে।
মঙ্গলবার ২ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটি এ দাবি জানায়।
কমিটির আহ্বায়ক ডা. মো. আরিফুর রহমান মোল্লা বলেন, আইনের ধারা ২(১৩) অনুযায়ী হোমিও চিকিৎসকদের নামের আগে ‘ডা.’ পদবি ব্যবহারের বৈধ অনুমোদন রয়েছে। এছাড়া একই আইনের ৩ নং ধারায় স্পষ্ট বলা আছে, অন্য কোনো আইনে যা কিছুই থাকুক, হোমিওপ্যাথি আইনের বিধান প্রাধান্য পাবে।
তিনি বলেন, হাইকোর্টের রায়ের ভিত্তিতে যে যুক্তি দেখানো হয়েছে তা বিভ্রান্তিকর। কারণ ওই রায় বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বিচারাধীন। পাশাপাশি আন্তর্জাতিকভাবে বহু দেশে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকরা আইনত ‘ডা.’ পদবি ব্যবহার করে আসছেন।
সংবাদ সম্মেলনে তাদের ছয় দফা দাবি তুলে ধরা হয়।
১০ আগস্টের নির্দেশনা প্রত্যাহার এবং হোমিও চিকিৎসকদের নামের আগে ‘ডা.’ লেখা নিয়ে হয়রানি বন্ধ করতে হবে। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা শিক্ষা আইন-২০২৩ দ্রুত কার্যকর ও শিক্ষা কাউন্সিল গঠন করতে হবে, বেসরকারি হোমিও মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে কর্মকর্তাদের জাতীয় বেতন স্কেল অনুযায়ী শতভাগ বেতন-ভাতা দিতে হবে। বিদেশ থেকে মানসম্মত ওষুধ আমদানির ক্ষেত্রে জটিলতা দূর করতে হবে। জাতীয় পর্যায়ে গবেষণাগার স্থাপন ও সরকারি কলেজে গবেষণা কেন্দ্রের জনবল বাড়াতে হবে এবং প্রকল্পভুক্ত হোমিও চিকিৎসকদের পদ রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করতে হবে।
কমিটির সদস্য সচিব ডা. শফিকুল আলম নাদিম বলেন, জাতীয় স্বাস্থ্যসেবায় দেশের প্রায় ৩০ শতাংশ রোগীর চিকিৎসা দেন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকরা। অথচ বারবার এ চিকিৎসা পদ্ধতিকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সরকারের উচিত আইন মেনে আমাদের অধিকার নিশ্চিত করা।