বাংলাদেশ রেলওয়ে সার্বজনীন পূজা মন্দির, রেলওয়ে কলোনী, শাহজাহানপুর, ঢাকায় সর্বধর্ম সম্মেলন’২৫ অনুষ্ঠিত

প্রকাশিতঃ আগস্ট ২৯, ২০২৫, ১৩:১৭

স্টাফ রিপোর্টার: এই জগৎ সংসারে জাতিগত ও ধর্মগত বৈষম্যের অপনোদনে সকল ধর্মের সমন্বয় ও ঐক্যের ভিত্তিতে বিশ্বভ্রাতৃত্ব ও প্রেমের রাজ্য প্রতিষ্ঠার অভিপ্রায়ে সর্বধর্ম-এর প্রবর্তক শ্রীমৎ আনন্দ স্বামীজী মহারাজের নির্দেশে জগৎ গুরু শ্রীমৎ লবচন্দ্র পাল গুরু মহারাজ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত সর্বধর্ম মিশন, বাংলাদেশ-এর উদ্যোগে আজ ১২ ভাদ্র, ১৪৩২ বাংলা সন (২৯ আগস্ট, ২০২৫ খ্রি:) ১৯৪ আনন্দাব্দ, শুক্রবার বেলা ১০:৩০ ঘটিকায় বাংলাদেশ রেলওয়ে সার্বজনীন পূজা মন্দির, রেলওয়ে কলোনী, শাহজাহানপুর, ঢাকায় “সর্বধর্ম সম্মেলন’২৫” অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানের শুরুতে অসীম আকাশের পানে শান্তির পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে মঙ্গল শুভ যাত্রা করা হয়।

নাম জপ ও সমবেত সংগীত পরিবেশন করেন সুভাষ সরকার ও তার দল।

উক্ত সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- শ্রীযুক্ত বাবু প্রভাত কান্তি পাল, প্রেসিডেন্ট, সর্বধর্ম মিশন, শ্রীযুক্ত বাবু পল্টন ঘোষ, ভাইস প্রেসিডেন্ট, সর্বধর্ম মিশন ও আহবায়ক, সর্বধর্ম সম্মেলন’২৫-এর আহ্বায়ক কমিটি, শ্রী কালিকান্ত ঘোষ, সেক্রেটারী, রেলওয়ে পূজা মন্ডপ, শাহজাহানপুর রেলওয়ে কলোনী, ঢাকা। শ্রীযুক্ত বাবু সন্তোষ চন্দ্র সরকার, শ্রীযুক্ত বাবু দুলাল দেবনাথ, শ্রীযুক্ত বাবু বিমল পাল, প্রচারক, সর্বধর্ম মিশন। ঢাকাস্থ আনন্দ মহাখালী সংঘের সেক্রেটারী সত্যেন্দ্র মোহন সরকার ও সহ সেক্রেটারী শ্রীযুক্ত বাবু বিজয় কুমার শিব প্রমুখ।এছাড়া সর্বধর্ম মিশনের কাউন্সিলরবৃন্দ, বিভিন্ন আশ্রম থেকে আগত সেক্রেটারী, সহ সেক্রেটারীবৃন্দ, গুরু ভ্রাতা ও ভগ্নীগণ, বিভিন্ন অনলাইন ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এই মহতী সভায় সকল উপস্থিত ভক্তবৃন্দ ও বক্তাদের বক্তব্যে একটি কথায় বারবার ঘুরে-ফিরে বিভিন্ন জনের কথায় বিভিন্ন ভাবে উঠে এসেছে সর্ব ধর্মের প্রবর্তক শ্রীশ্রীমদ আনন্দ স্বামীজী, মলয়াসংগীতের রচয়ীতা মহর্ষী মনোমোহন দত্ত জগতগুরু লবচন্দ্র পাল মহারাজ-এর আত্মজীবনী, তাদের বাণী সর্ম্পকিত আলোচনা। স্বামীজীর বাণী- ‘একাকী নয় জগৎ লয়ে, চলরে আনন্দ হয়ে’। আনন্দ মাঝে সকল আনন্দের যে আধার তিনিই বিরাজে।

সকল ধর্ম একই কথা বলে ঈশ্বর এক ও অদ্বিতীয়। এক পরব্রহ্ম ব্যতীত অন্য আর কিছুই ছিল না; ভূত, ভবিষ্যৎ, বর্তমান কালে একমাত্র তাঁহারই সত্ত্বাতে কারণ এবং কার্য্য উভয় নিহিত। তাঁহারই ইচ্ছা কার্য্য করিতেছে এবং সকল শক্তিই তাঁহার। পূর্ণ অথবা আংশিক শক্তিশালী আর কোন ব্যক্তির অস্তিত্বই নাই। স্বস্ত্রীক সাধন, বিশ্ব ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠা, দয়াময় নামই যে জীবন সিদ্ধির একমাত্র পথ, সেই সত্য চিরকাল প্রচার করা সর্ব ধর্মের মূল উদ্দেশ্য। জগতের কোন ধর্মকেই অগ্রাহ্য করা যাইতে পারে না। কেন না তাহা সাময়িক ও ব্যক্তিগত প্রয়োজনীয়। কেহই সরল বিশ্বাস ভিন্ন, কৈতবযুক্ত হৃদয় নিয়া ধর্ম প্রচার করেন নাই এবং যাহারা সেই প্রচারানুযায়ী কার্য্য অবলম্বন করিয়াছেন তাহারাই এক এক সম্প্রদায় বদ্ধ হইয়াছেন। এই সাম্প্রদায়িকতা ধর্ম জীবনের শৈশবাবস্থা, তাহা হইতে মনের বিরাগ প্রৌঢ়াবস্থা এবং তাহা সম্যকরূপে পরিত্যাগ, সৎ এবং সিদ্ধাবস্থা।

সকলেই এই জীবন-মুক্তির অধিকারী, কাহারও নিরাশ হইবার কারণ নাই। সর্ব্ব প্রকারের পার্থক্য পরিত্যাগ করিয়া সকলেই নাম-যোগ সাধন করিলে অমরত্বের যোগে জগতে একতা আসিবে ও ধৰ্ম্ম মতের আর অনৈক্য থাকিতে পারিবে না। ঈশ্বর এবং তাঁহার নাম এক এবং একই এ উভয়ের কোন পার্থক্য নাই। ঈশ্বরেতে যাহা আছে তাঁহার নামেও তাহা আছে, ইহাতে স্থির বিশ্বাস হইলে অন্য প্রকার সাধনের কোন আবশ্যক থাকে না। এই নাম-যোগের পর ধ্যানযোগ লাভ করিয়া মনুষ্য শরীর সাধন পূর্ব্বক রোগ, শোক ও মৃত্যু হইতে নির্ভয় ও জীবন-মুক্ত হইবে।